নিহতরা হলো- নাটোর পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও শহরের কানাইখালী এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে রেদওয়ান সাব্বির, একই এলাকার হাফেজ লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ ও শহরের কালুর মোড় এলাকার কালু মিয়ার ছেলে সোহেল রানা। তাদের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।
নিহত সাব্বির ও সোহেলের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় একাধিক মামলা ও নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও পরিবার জানায়, গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার তকিয়া বাজার এলাকায় কাজ শেষে যুবলীগ নেতা সাব্বির তার দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ ও সোহেলকে নিয়ে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিল। রাত ১১টার দিকে সেখানে দুইটি হাইএস মাইক্রোবাসে ১৫/১৬জন লোক তাদের মারপিট করে গাড়িতে তুলে নিয়ে রাজশাহীর দিকে চলে যায়। এরপর তাদের খোঁজ না পেয়ে সাব্বিরের মা রুখসানা বেগম গতকাল রোববার সকালে নাটোর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এছাড়া এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছিল যুবলীগ। কিন্তু তার আগেই সোমবার সকালে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের সংবাদ প্রচার হয়। তা দেখে পরিবারের লোকজন সদর থানার মাধ্যমে দিনাজপুরের সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ নিয়ে ওই লাশগুলোর পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। সংবাদটি নাটোরে পৌঁছলে পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। ওইসব পরিবারের লোকজন লাশগুলো নিতে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর যুবলীগ। এতে যুবলীগ নেতারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, যারা যুবলীগের তিন কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব, সদর যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক সাঈম হোসেন উজ্জল ও যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুল ইসলাম বুলেট।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নিহত সাব্বিরের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যাসহ ১২টি এবং সোহেলের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আছে। গত বছর সাব্বিরকে নাটোর শহর থেকে র্যাবের একটি টিম আটক করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে র্যাবের সদস্যদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ রয়েছে। তবে নিহত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেকে বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমের সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিতো।