আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালেন ইট ভাটার মোজাম্মেল মাসুম,মিজানুর রহমান দিপু পরিবেশ আইন অমান্য করে কাঠ পোড়ানোসহ কৃষি জমিতে ডাবল বাংলা চিমনী দিয়ে চলছে ইট ভাটা

ক্রাইমবার্তা রিপোট:লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: কাঠ পোড়ানো ! বাংলা চিমনীসহ কৃষি জমিতে ইট ভাটা স্থাপন নিষেধ হলেও, আইনের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে দিব্বি ইট পুড়ে যাচ্ছেন প্রো: মিজানুর রহমান বিপু, পরিচালক মোফাচ্ছের হোসেন মাসুম।26
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মুদিখানা পোল সংলগ্ন, চরমটুয়া,ফরাশগঞ্জ  এলাকায় “বি.এম ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং” নামক ইটভাটা চলছে পরিবেশ আইনের পরিপন্থী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঐ ইটভাটায় দুটি বাংলা চিমনী রয়েছে, যা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ এর ধারা (২) এর উপধারা (ঘ) এর পরিপন্থী। উল্লেখিত আইনের ৬ নং ধারায় (জ্বালানী কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ) রয়েছে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাক্তি ইটভাটায় ইটপোড়ানোর কাজে জ্বালানী হিসেবে কোন জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করিতে পারিবেনা।
১৬ নং ধারায় রয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি ৬ নং ধারা লঙ্ঘণ করিয়া ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
অথচ বি.এম ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং ইট ভাটায় দেদারছে জ্বালানী কাঠের ব্যবহার হচ্ছে। ৮ এর উপধারা ১ (এক) এ উল্লেখ্য রয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,  ছাড়পত্র থাকুক বা না থাকুক, এ আইন কার্যকর হইবার পর নি¤œবর্ণিত এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে কোন ব্যাক্তি কোন প্রকার ইটভাটা স্থাপন করিতে পারিবে না। ৮ এর উপধারা ১ (এক) এর (ঘ) তে উল্লেখ্য রয়েছে  কৃষিজমি, (ঙ) তে উল্লেখ্য রয়েছে পরিবেশগত সংকটাপূর্ণ এলাকা।
২ এর উপধারা (ঝ) তে উল্লেখ্য রয়েছে “কৃষিজমি” অর্থ এমন কোন জমি যাহা বছরে একাধিকবার কৃষি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, বি.এম ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং ইট ভাটার আশপাশের জমিতে বর্তমানে ধান চাষাবাদ করা হচ্চে।
সরে জমিনে গিয়ে কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়- ধানের পরে মটর ডাল এবং শীতের মৌসুমে নানা প্রকার সবজির চাষ করা হয় এসব জমিতে।
কৃষি নির্ভর ঐ এলাকার মানুষ জানায়-মিজানুর রহমান, মোফাচ্ছের হোসেন ইট ভাটার কারণে কৃষিজমিতে আমরা ঠিকমত ফসল পাচ্ছি না। বিশেষ করে ইটভাটার চার পাশের জমিতে ইটের ধুলা-বালি এবং বাংলা চিমনীর কালো ধোঁয়ায় আমাদের কৃষি পণ্যগুলির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বি.এম ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ইট ভাটার মালিক- মোফাচ্ছের হোসেন মাসুম, মিজানুর রহমান বিপু ভূইয়া বাড়ী ভবানীগঞ্জ এলাকার ওয়াবদা অফিসের পাশে হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না।
কারণ- আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ভবানীগঞ্জ, চৌরাস্তা এবং লক্ষ্মীপুরে যেতে হয়। উল্লেখিত জায়গায় মোফাচ্ছের অনৈতিক প্রভাব রয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে মাসুম ,মিজানুর রহমান দিপু এসব জায়গায় আমাদের কে আটকাবে, মারধর করবে, এ ভয়ে আমরা নিজেদের ক্ষতি সত্ত্বেও মুখ বন্ধ করে আছি।
এলকাবাসী আরো বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকেরা এসব ইটভাটা থেকে প্রতিবছর মোটা অংকের টাকা নেয়। না হয় বাংলা চিমনী দিয়ে কেউ ইটভাটা চালানোর ক্ষমতা রাখেনা। কারণ কেউ আইনের উদ্ধের্  নয়। সরে জমিনে পরিদর্শনে গেলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপস্থিত কয়েকজন ভূক্তভোগী জানান- আমরা এমন বিপর্যয় পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে, পত্রিকার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করি। অপর দিকে সফিকুর ইসলাম নামে এক কৃষক জানান আঁধার মানিক নতুন তেওয়ারীগঞ্জের খোরশেদ এবং হুমায়ুন ব্রিকস্, জাহাঙ্গীর ব্রিকস্, চরভূর্তী বয়ার দিঘির মহিউদ্দিনের ব্রিকস্ , কুতুবপুর আলী হায়দার ব্রিকস্, ধর্মপুর ,রনি ব্রিকসসহ নাম না জানা আরো অনেক ব্রিকস্ কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ দূর্ষণ করছে ।

উল্লেখিত বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী যমুনা নিউজকে বলেন ইটের ভাটার গুলো আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সকল ইটের ভাটা আইনঅমান্য করে কাট পুড়িয়ে পরিবেশ ও জলবায়ুর প্রবাভ বিস্তার করে পরিবেশ দূর্ষন করে তাদের ইটের ভাটার নামের  তালিকাসহ সংবাদ প্রকাশ করুন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া নিবো।…..চলবে

Check Also

সাতক্ষীরায় উগ্রবাদী সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে তৌহিদি জনতার মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি ; উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।