ক্রাইমবার্তা রিপোট:মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শরীয়তপুরের ইদ্রিস আলী সরদার ওরফে গাজী ইদ্রিসকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা চার অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে আসামি ইদ্রিস আলী সরদারের সাজা কার্যকর করতে হবে।
চার অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগে ২০০ জনকে হত্যা এবং দ্বিতীয় অভিযোগে বহু মানুষকে হত্যা, নারীদের নির্যাতনের ঘটনায় ইদ্রিস আলীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে।
আর তৃতীয় অভিযোগে চারজনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় তার আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চতুর্থ অভিযোগে পরিকল্পিত দমন-পীড়ন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি মাওলানা সোলায়মান মোল্যা ওরফে সোলায়মান মৌলভী গত ২৫ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।
আজ সোমবার বেলা ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ৪৮৬ পৃষ্ঠার এ রায় পড়া শুরু হয়। রায়ের প্রথম অংশ পড়ছেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।
চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: আনোয়ারুল হক এবং বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী এই রায় ঘোষণা করছেন।
এর আগে প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
গত বছরের ১৪ জুন সোলায়মান-ইদ্রিসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাতে গোয়েন্দা পুলিশ সোলায়মান মোল্লাকে গ্রেফতার করলেও ইদ্রিস সরদার পলাতক রয়েছেন।
গত ২ মে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে সোলায়মান-ইদ্রিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১০ সালে শরীয়তপুরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার সোলায়মান ও ইদ্রিস আলী সরদারসহ আরও সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।