ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ॥ বর্তমান সরকার দেশে শতভাগ নিরক্ষতা দূরীকরণ করার লক্ষে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য খুলেছেন আনন্দ স্কুল অনুমোদন দিচ্ছেন বিভিন্ন নামে কিন্ডার গার্টেন স্কুল এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রর্যন্ত সমস্ত শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতেই পাঠ্য প্রস্তুক সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওযার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সমগ্র দেশে এ বিষয়গুলি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং সঠিকভাবে তদারকী করার জন্য দায়িত্ব দিচ্ছেন সংশি¬ষ্ট কৃর্তপক্ষকে। ঠিক তখনই ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলে প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলার মহারাজায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল মাঠ দখল করে আনন্দ মেলার নামে অনুমতি ছাড়াই জুয়া,যাত্রা পালা র্যাফেল ড্র অথচ প্রশাসনের কর্তাবাবুরা বলছেন আমরা জানি না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহারাজা কিন্ডার গার্ডেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয় এই ৩ বিদ্যালয়ের মাঠ একটিই। সেই মাঠ দখল করে আনন্দ মেলার নামে সমগ্র মাঠ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ, টয়লেট দখল করে ৬নং কাশিপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান আ”লীগ নেতা আব্দুর রউফ নিজে মেলা কমিটির সভাপতি হয়ে মাঠটি দখল করে মেলা চালাচ্ছেন। ৩০ নভেম্বর এই আনন্দ মেলার উদ্ভোধন করেন ঠাকুরগাও-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম. আ’লীগ সভাপতি সইদুল হক। সদ্য সমাপ্ত জেএসসি,জেডিসি, শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে বার্ষিক পরীক্ষার । এ ব্যাপারে ৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ আমরা তো এখানে চাকুরী করি বেশি কিছু বলতে পারি না তবে মেলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আমাদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। একাধিক অভিভাবক আমাদের প্রতিনিধিকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা উপজেলা শহর হতে প্রায় ২৫ কিমিঃ দুরে গ্রামে বসবাস করছি এখন থেকে ২ বছর আগে ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করছিলাম কিন্তু হাঠৎ করেই ২-৩ বছর ধরে এক আজাব আসতে শুরু করেছে আমদের গ্রামে। এলাকার কিছু বিপথগামী লোক গত বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করছে। এতে আমাদের ছেলে মেয়েরা মেলার সময় কোন কথাই শূনছে না, নষ্ট করছে পড়ালেখার সময়, অপচয় করছে টাকা। মেলায় অশ¬ীল নৃত্য দেখে বিভিন্ন খারাপ কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তবে এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মে রেজাউল করিম বলেন, মেলা কমিটি ৩০ নভেম্বর মেলা করার কোন অনুমতি পান। কিন্তু শর্তাবলী অমান্য করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মেলা বন্ধ করে দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, বিষয়টি আমি জানিনা তবে মেলা অনুমতির শর্ত অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাণীশংকৈল প্রতিনিধি:ঠাকুরগাওয়ে দূর্ণীতির অভিযোগে রাণীশংকৈল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিরাজুল ইসলামের রাহবা সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। রাহবা অফিস সুত্রে জেলার রাণীশংকৈল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যাণ সংস্থা (রাহবা)’র ২০০৮-১০ সাল পর্যন্ত সভাপতি থাকা কালিন সময়ে সমিতির টাকা আত্মসাত সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। সমিতির সদস্যদের জমাকৃত মুলধন ফেরৎ পেতে ইচ্ছুক কিনা মর্মে একটি অঙ্গিকারণামা করেন তৎকালিন সভাপতি। মুলধন ফেরৎ নিতে ইচ্ছুক ১৮ জন সদস্যের অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর নিয়ে তাদের টাকা উত্তোলন করে তা ফেরৎ না দিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়াও সমিতির হিসাব নিকাশে স্বচ্ছতা না থাকায় সঠিক হিসাব প্রদানের জন্য বার বার নোটিশ করা হলে তা আমলে না নিয়ে টাল বাহানা করে। সমিতির সংবিধান অনুযায়ী ২০১১-১৫ সালের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবু তাহের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে এ জেড সুলতান ১২ ডিসেম্বর’১৫ তারিখ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম জাল সীল ব্যবহার করে নিজেকে সভাপতি দাবি করে আসছেন। উল্লেখ্য, তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পদের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জাল সনদ এনে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা করে দেওয়ার নামে বিরঙ্গনাদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নেওয়া, টাকার বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করা সহ নানা অভিযোগ জর্জরিত। টাকা হাতিয়ে নিয়ে জাল সনদ এনে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে।
উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যাণ সংস্থা (রাহবা) সমিতির সভাপতি এ জেড সুলতান ৫ ডিসেম্বর জানান, সমিতির সংবিধান বহির্ভূত কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারনে সিরাজুল ইসলাম কমান্ডারের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।