গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন

গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে দেয়া আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। গড়ে তুলি বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’। গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করেছি। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার কাজ চলছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ’৯০ পরবর্তী দুই দশকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। বাংলদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকেরা সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীকালে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বৈরাচারী শাসন উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করি। এ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষ আত্মাহুতি দেন। স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়। শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়।

দিবসটি উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা এবং দেশবাসীর এই স্বতঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপোষহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

একই সাথে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে জীবনোৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

Check Also

ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান

ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।