ক্রাইমবার্তা রিপোট:দীর্ঘ ২২ বছর পর একটি দুর্নীতির মামলার তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আপিলের শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রোববারের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে এরশাদের পক্ষে পেপারবুক থেকে পড়ে শোনান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এরশাদের পক্ষে আপিল শুনানি শুরু করন তার আইনজীবী।
ওই দিন শুনানির শুরুতে আদালত এরশাদের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, মামলার নথিতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে এবং বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু কেন রায় হয়নি এই বিষয়ে আপনি কি কিছু জানেন।
জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ঐ সময়ে এই মামলা আইনজীবী ছিলাম না। এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইদিন আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
দীর্ঘদিন পর এ মামলায় আপিল শুনানির দিন ধার্য করতে গত ২২ আগস্ট আবেদন করেছিল দুদক। এরপর আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় এলেও মামলার নথি না আসায় শুনানি শুরু হয়নি।
পরে গত ০১ নভেম্বর শুনানির দিন ১৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওইদিন এরশাদের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ০৮ জানুয়ারি তত্কালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্তেরও নির্দেশ দেয়া হয়।