ক্রাইমবার্তা রিপোট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্ত এলাকায় গ্রামবাসীর উপর বিজিবির হামলায় সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চেঁচড়া সীমান্তে চোরাকারবারীরা এক বিজিবি সদস্যের হাতে ছুরিকাঘাত করে ভারতে পালিয়ে যায়। এরই জের ধরে বিকালে আটাপাড়া ক্যাম্পের হাবিলদার নোয়াব আলীসহ ১০/১২ জন বিজিবি চেঁচড়া গ্রামের নিরীহ লোকজনের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলার শিকার হয়েছেন ৭ বছরের শিশু তামিম ও গৃহবধূ হাসিনা, ছকিনাসহ ২০ জন।
খবর পেয়ে বাগজানা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুক ও ২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো. মোস্তাফিজার রহমান ঘটনাস্থলে যান।
সরজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আটাপাড়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা চেঁচরা গ্রামে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। নিরীহ লোকজনকে লাঠি দিয়ে এলোপাতারী মারধর করে। বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত ও ভাত খেতে বসা লোকজনকেও পেটাতে থাকে। নারীদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারধর করে। আতঙ্কে লোকজন দিগি¦দিক ছুটা-ছুটি করে। এ সময় গ্রামবাসীর উপর বিজিবির নির্যাতনের ছবি তোলায় দৈনিক খবর পত্রের সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিনকে বেধড়ক লাঠি পেটা করা হয়। তার বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও বেদনাদায়ক জখমের চিহ্ন রয়েছে। চেঁচরা গ্রামের কমেলা বেওয়া বলেন, তার ছেলে হানিফ মাছ ধরছিল সেখানে বিজিবি তাকে লাঠি পেটা করে। সাজু বলেন, তাকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করা হয়েছে। নিজাম বলেন, এ রকম মারধর আগে কখনও দেখিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুক বলেন, গ্রামবাসীরা আঘাতের চিহ্ন দেখান। সেখানে একটি শিশুকেও মারধর করা হয়েছে। জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এ ভাবে মারধর করা অন্যায়। দোষীদের ক্লোজ করা হবে।