ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃতদেহ দাহ করা হয়নি। সমাধিস্থ করা হয়েছে। এ নিয়ে হিন্দু সমাজে প্রশ্ন উঠলেও তার মৃতদেহ কেন দাহ করা হয়নি সে ব্যাপারে একাধিক যুক্তি উপস্থাপন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জয়ললিতার মৃতদেহ দাহ না করার দ্রাবিড়িয়ান সংস্কৃতির অংশ।
মাদ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক রামু মনিবান্নান বলেছেন, সমাধিস্থ করা দ্রাবিড়িয়ান সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এছাড়া জয়ললিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃতদেহ ইতিপূর্বে সমাধীস্থ করে রাখা হয়েছে মেরিনা বিচ মেমোরিয়ালে।
জয়ললিতার মৃতদেহ সৎকারের বদলে সমাধিস্থ করাতে তার পরিবার থেকেও কোনো আপত্তি ছিল না বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মে মৃতদেহ সৎকারের পাশাপাশি সমাধিস্থও করা হয়। সাধারণের মৃতদেহ দাহ করা হলেও সমাধিস্থ করা হয় ধর্মীয় গুরু, পবিত্র ব্যক্তিত্ব এবং তিন বছরের নিচের শিশিুদের মৃতদেহ। কারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, মৃতদেহ না পোড়ালে আত্মা দেহকে ছেড়ে যায় না। দেহের মায়ায় পড়ে থাকে। কিন্তু ধর্মীয় গুরু বা পবিত্র ব্যক্তিরা তাদের আত্মা ও দেহের সম্পর্ক আধ্যাত্মিকতার জায়গা থেকে যেমন খুশি তেমন রাখতে পারে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে তো দেহের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়েই ওঠে না। কাজেই তাদের মৃতদেহ সমাধীস্থ করলে কোনো সমস্যা নেই।
আর জয়ললিতা কেবল রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না। তিনি একটি পবিত্র সত্বা। সকল ধর্ম-কর্মের ওপরে তিনি ছিলেন সবার ‘আম্মা’।