ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় সময় বুধবার ৭ ডিসেম্বের ভোর ৫টা ৩ মিনিটে উত্তর সুমাত্রার বান্দে আচেহর ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও সিগলি শহরের ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ৬.৫ মাত্রার এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল সমুদ্রের নিচে, ভূমি থেকে ১৭.২ কিলোমিটার গভীরে।
আচেহ প্রদেশের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল তাতাং সুলাইমান এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানান, ভূমিকম্পে অন্তত ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতশত মানুষ। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাতাং সুলাইমান আরও বলেন, ‘আশা করছি সূর্যাস্তের আগেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।’
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। এতে সেনাবাহিনীও অংশগ্রহণ করেছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানায়, ভূমিকম্পে গভীর আঘাত পাওয়া ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তার সুতোপো নুগ্রহো জানান, ‘আমাদের ধারণা, অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে।’ তিনি আরও জানান, উদ্ধারকাজে সেনা সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন।
পিদি জায়া জেলার প্রধান আইয়ুব আব্বাস জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভেঙে পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি ধ্বংসস্তূপ সরাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জরুরি ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের তীব্রতায় বান্দে আচেহতে বহুতল ভবন ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। উদ্ধারকাজ চলছে। অনেকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। উল্লেখ, ২০০৪ সালে ৯.২ মাত্রার প্রলঙ্করী এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশের অনেক জনপদ ভেসে যায়। তখন কেবল আচেহ প্রদেশেই মারা পড়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সূত্র: বিবিসি।