ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখাইন রাজ্যের উপদেষ্টা কমিশনের প্রধান ও সাবেক জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অতি দ্রুত শান্ত করতে মিয়ানমার সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাখাইন রাজ্যে ৭ দিনের সফরের পর মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মিয়ানমারের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বিগ্নতা ব্যক্ত করে বলেন, ‘সেখানে ভয়, অবিশ্বাস এবং আতঙ্ক বাড়ছে কিন্তু তা প্রশমনের জন্য উপায় খুঁজতে হবে। বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে হবে।’
জাতিসংঘের এই মহাসচিব দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে নির্যাতিত রোঙ্গিদের নিয়ে কাজ করে আসছেন। এই সময় মি.আনান মানবাধিকার কর্মী ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নাগরিকদের সম্পর্কে উদ্বিগ্নতা ব্যক্ত করেন। আনান বলেন, আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন নিয়ে চিন্তিত। সেনাবাহিনীর উচিত নাগরিকদের সুরক্ষা করা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সৈন্যদের অবশ্যই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে।
রোববার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক রোহিঙ্গাদের উপর চালানো সহিংসতাকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। কফি আনান বলেন, আমি এটাকে সেভাবে দেখতে চাই না, যেমনটি কেউ কেউ দেখছেন। আমি মনে করি, সেখানে উত্তেজনা আছে, যুদ্ধ চলছে।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সৈন্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, খুন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ির পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। মিয়ানমার সরকার এই অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে। পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ার জন্য গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন রাষ্ট্রীয় পরামর্শক ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি। মানবাধিকার গ্রুপগুলো দাবি করছে, ‘দুই মাসে প্রায় ২১ হাজার ৯০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।’