ক্রাইমবার্তা রিপোট: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল অভিযোগ করেছেন, দেশের বর্তমান যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে সংখ্যালঘুরা উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছিল যেন সব মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। কেউ যেন কোন বৈষম্যের শিকার না হন। কোন রকম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার না হন। সেখান থেকেই আমরা মুক্তিটা চেয়েছিলাম। তা না হলে পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার কি জরুরি কাজটা ছিল আমাদের
ঢাকা রিপের্টার্স ইউনিটি কনফারেন্স লাউঞ্জে আজ এক সংবাদ সম্মেলন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল আরো বলেন, রাষ্ট্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে যে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এ বোধতা দেয়া যে তাদের ওপর কোন ধরণের হামলা সরকার বরদাশত করবে না। তাদের আশঙ্কা দুর করতে রাষ্ট্রকেই যে সুরক্ষা দিতে হবে তা সংখ্যালঘুদের মধ্যে স্পষ্ট করতে হবে । এখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনেক।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়েতে পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণের নামে পটিয়া উপজেলার করল গ্রামের নাথপাড়া উচ্ছেদের অপপ্রয়াসের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুলতানা কামাল বলেন, চট্টগ্রাম-কক্্রবাজার হাইওয়েতে পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণের নামে পটিয়া উপজেলার করল গ্রামের চল্লিশটি পরিবার যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে খেয়াল করা সরকারসহ সবারই নৈতিক দায়িত্ব। পটিয়া উপজেলার করল মৌজায় নাথপাড়ার সংখ্যালঘুসহ সাধারণ মানুষের বসতভিটা,শ্মশান,মঠ ও জায়গাজমি থেকে উচ্ছেদ করার ২০০৮ সালে বাতিলকৃত নক্্রা সরকারের তরফ থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের ঘোষণা দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন,সংখ্যালঘুদের বসতভিটা,মোহনানন্দ সোশ্রম,শশ্মাস ইত্যাদি রক্ষায় সরকারের বাইপাস উন্নয়নের জন্য আলোচ্য নক্সা বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সাংসদের প্রস্তাবনুযায়ী বিকল্প নক্সা অনুসরণের ঘোষণা দিয়ে অত্র এলাকার সংখ্যালঘু ও ভুক্তভোগী মানুষের মন থেকে উচ্ছেদ আশঙ্কা দুর করতে হবে।