ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পর্দানশীন মুসলিম ছাত্রীদেরও অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাঁতারের ক্লাসে অংশ নিতে হবে বলে রায় দিয়েছে জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত।১১ বছর বয়সী একজন মুসলিম ছাত্রী সাতারের ক্লাস থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে তা খারিজ করে বুধবার আদালত এ রায় দেয়।
ওই বালিকার পরিবারের দাবি, বুরকিনি বা পুরো শরীর আবৃত সাঁতারের পোশাক পরে অন্যদের সঙ্গে সাঁতারে অংশ নেয়া ইসলামী পর্দার বিধান এবং নৈতিকতার বিরোধী।
এ কারণে বালিকাটির পরিবার তাকে সাঁতারের ক্লাস থেকে অব্যাহতি দিতে জার্মানির একটি নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিল।তখন আদালতে বালিকাটি বলেছিল, বুরকিনি পরে সাঁতার কাটার সময় শরীরের অবয়ব বোঝা যায়, যা ইসলাম বিরোধী। তবে বালিকাটির পরিবারের আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত।
এরপর তারা জার্মানির সাংবিধানিক আদালতের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এ আদালতও বালিকাটিকে সাঁতারের ক্লাস থেকে অব্যাহতি দিতে রাজি হয়নি।খ্রিস্টান অধ্যুষিত জার্মানিতে মুসলিমদের সংখ্যা ও প্রভাব বেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি অসন্তোষ তীব্রতর হয়েছে।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম শরণার্থী ভিড় করায় তাদের জার্মান সমাজে সমন্বয় করা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে জার্মান-মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল অভিযোগ করে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যার জের ধরে দেশটির স্থানীয় নির্বাচনে মের্কেলের দল পরাজয় বরণ করে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কেলেও মুসলিম বিরোধী অবস্থান প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।মঙ্গলবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের পরে সাংবিধানিকভাবে বোরকা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।মের্কেলের মের্কেলের এই ঘোষণার পরদিনই জার্মানির স্কুলে মুসলিম বালিকাদের বাধ্যতামূলকভাবে সাঁতারের ক্লাসে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।আদালতের এ রায়কে হিজাব নিষিদ্ধের উদ্যোগকে আরও গ্রহণযোগ্য করার প্রাথমিক ধাপ মনে করা হচ্ছে।