মামলায় রুখসানা বেগম উল্লেখ করেন, ‘গত ৩ ডিসেম্বর সাব্বির রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ব্যবসায়িক কাজে তকিয়া বাজারে মান্নান মিয়ার চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিল সে। রাত সাড়ে দশটার দিকে অজ্ঞাত প্রশিক্ষিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা র্যাব পরিচয় দিয়ে সাব্বিরসহ তার দুই বন্ধুকে ঘিরে ফেলে। পরে তাদের মারপিট করে জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত রাজশাহীর দিকে রওনা হয়।’
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার ছেলে সাব্বিরসহ তার অপর দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ ও সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়। পরে ঘোড়াঘাট পর্যন্ত যেতে না যেতে তাদের হত্যা করে ঘটনাস্থলে লাশ ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা জানি পুলিশ অথবা র্যাবের ক্রসফায়ারে দুষ্কৃতকারী বা সন্ত্রাসীরা নিহত হয়। পরে সংবাদপত্রে সংবাদ ছাপা হয়। কিন্তু আমার ছেলেকে হত্যার পর পুলিশ অথবা র্যাব কর্তৃক কোনও বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের সংবাদ প্রচারিত হয়নি। এতেই প্রতীয়মান হয় প্রশিক্ষিত শক্তিশালী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে নিজে অথবা প্ররোচিত হয়ে তাদের হত্যা করেছে।
নিহত আব্দুল্লাহর চাচা নাসিম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়নি।’
অপরদিকে নিহত সোহেলের বোন রুপা দাবি করেন, ‘সোহেলের দুই সন্তানসহ পরিবারের ব্যায় বহন নিয়েই আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। মামলা চালানোর মতো ক্ষমতা আমাদের নেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে কালুর মোড় এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা দাবির ঘটনায় সাব্বিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া বাকি সব মামলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
সাব্বিরের মামলা পরিচালনার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈম হোসেন উজ্জ্বল জানান, ‘শহরের কানাইখালী এলাকার রাসু হত্যাসহ তিনি ৪টি মামলা পরিচালনা করছিলেন। আর অ্যাডভোকেট শান্ত বাকি মামলাগুলো পরিচালনা করছেন।’
অপরদিকে সোহেলের বোন রুপা দাবি করেন, ‘সোহেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ছিল। তবে এর মধ্যে কোনও হত্যা মামলা ছিল না। তিনটি মামলাতেই সে জামিনে মুক্ত ছিল।’বাংলা ট্রিবিউন