সু চিকে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের আহ্বান

সু চিকে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের আহ্বান

 মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গিয়ে চলমান সহিংস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য এবং জনগণকে সুরক্ষা নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়ার জন্য দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান  সু চি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।   ওই রাজ্যে সেনাবাহিনী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ-নির্যাতন, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে বলে যে অভিযোগগুলো উঠছে তা থেকে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি,এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। জাতিসংঘ এরইমধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ এনেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগ তোলা হয় দুই দফায়। এবারের সংঘর্ষে রাখাইন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা ৮৬ জন বলে জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত ঘরহারা হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। রাখাইন রাজ্যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির পরেও চলমান দমন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে দায় এড়াতে চাইছে মিয়ানমার সরকার। এমনকি শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিও সম্প্রতি সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের চলমান অস্থিরতার নেতিবাচক দিকই কেবল দেখছে।
এমন পরিস্থিতিতে সু চিকে রাখাইন রাজ্যে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান নামবিয়ার। তার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের অস্বীকৃতি এবং স্থানীয় লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক ভূমিকার চেয়ে আত্মরক্ষামূলক ভূমিকা পালনের কারণে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে হতাশা তৈরি হয়েছে। ’
সু চিকে রাখাইনের মংডু ও বুথিডং পরিদর্শনের অনুরোধ  জানিয়ে নামবিয়ার বলেন, এসব উদ্বেগে সাড়া দিয়ে মিয়ানমার সরকার সংকটের সমাধান করতে পারবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।