ক্রাইমবার্তা রিপোট: সিলেটে চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস ‘ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরির’ কারণে বাম পাশ অবশ হয়ে যাওয়ায় ফিজিওথেরাপি নিতে হচ্ছে। সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১০৫ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন নার্গিস। সেখানে সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিচ্ছেন তার মা। বাবা মাসুক মিয়াও রয়েছেন তার পাশে।
স্কয়ার হাসপাতালে প্রায় দুই মাস চিকিৎসার পর সাভারের সিআরপিতে ভর্তি করা হয়েছে নার্গিসকে। সেখানে সাত সদস্যের একটি মেডিক্যল টিম তাকে সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। নিউরোলজিস্ট ডা. সাইদ উদ্দিন হেলাল এই মেডিক্যাল টিমের প্রধান। তার রুমের সামনে সার্বক্ষণিক একজন সিকিউরিটি রাখা হয়েছে। কেউ এলে নার্গিসের সাথে সাক্ষাৎ করা যাচ্ছে না।
কথা বলতে চাইলে নার্গিস এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সিআরপি’র রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান উর্মি জানান, খাদিজার সমস্যা হলো তার ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরি। অর্থাৎ সে ব্রেনের মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা তিন মাসের টার্গেট নিয়েছি। কিন্তু গত কয়েক দিনে আমরা যে ফলাফল পেয়েছি তাতে মনে হচ্ছে আমরা দুই মাসের মধ্যেই তাকে সুস্থ করে তুলতে পারব।
খাদিজা বেগম নার্গিসের ছোট ভাই জানান, নার্গিস আপা নিজেই হাত দিয়ে খেতে পারে। সিআরপিতে আসার পরে আস্তে আস্তে আরো সুস্থ হয়ে উঠছে। এখন একটু একটু করে কথা বলতে পারেন। তিনি সুস্থ হয়ে আবার পড়ালেখা করবেন।
গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক বদরুল আলম। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। ঘটনার পর শাবিপ্রবি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।