ক্রাইমবার্তা রিপোট:বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের টিটিসি এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে ৮ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মহসিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই কিশোরী নগরীর আলেকান্দা ইউসেফ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে বিষয়টি যাতে বেশি দূর না গড়ায় সেজন্য সাবেক কাউন্সিলর আজিম, ফেরদৌস ও মিজান স্থানীয়ভাবে শালিস করে মেয়েটির পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মানেনি শিশুর পরিবার। এ ঘটনায় আইনানুগ বিচার দাবি করেছেন তার বাবা-মা।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর টিসিটি এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর আজিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে মহসিনের সঙ্গে প্রতিবেশী আনিসুর রহমান দুলালের ভাড়াটিয়া চা দোকানির কিশোরী মেয়ের পরিচয় হয়।
গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরী পড়তে গেলে তাকে আচার খাইয়ে মাদারীপুর নিজ বাড়ি নিয়ে যান মহসিন। সেখানে ৮ দিন আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন করা হয়। এ সময় মহসিনের দেয়া খাবার খেয়ে প্রতিবার অজ্ঞান হয়ে যেত নির্যাতিতা।
গত ৯ ডিসেম্বর বরিশাল থেকে মহসিনকে খুঁজতে মাদারীপুরের শ্বশুরবাড়ি যান তার স্ত্রী। সেখানে নির্যাতিত শিশুটিকে দেখে উদ্ধার করে ওদিন রাতেই তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন মহসিনের স্ত্রী।
বিষয়টি যাতে বেশি দূর না গড়ায় সেজন্য আজিম, ফেরদৌস ও মিজান স্থানীয়ভাবে শালিস করে মেয়েটির পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি শালিসযোগ্য নয়। ভিকটিমের বক্তব্য অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত মহসিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিশুটি ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিনা তা ডাক্তারি পরীক্ষাসহ তদন্ত না করে বলা যাবে না।