ক্রাইমবার্তা রিপোট:সালিসের নামে মারধরের অপমান সইতে না পেরে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বলেন, আপত্তিকর সম্পর্কের অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের আফরোজা খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরী ও এক কিশোরকে আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মনিরুল ইসলামের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সালিসের নামে চেয়ারম্যান তাদের বকাবকি ও মারধর করেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে শনিবার কিশোরীটি আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ওই দিনই কিশোরীর ভাই ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। গতকাল রাত ১২টার দিকে মামলার তিন আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, চৌকিদার ইসমাইল হোসেন ও জয়দেব কুমার দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরীর ভগ্নিপতি আরিফুল ইসলামের ভাষ্য, তাঁর শ্যালিকা আফরোজা শুক্রবার বিকেলে সোনাবাড়িয়া বাজারের একটি দোকানে ফ্লেক্সিলোড করতে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আরেকটি ছেলেসহ কিশোরীটিকে আটক করে আপত্তিকর সম্পর্কের অভিযোগ তোলে। পরে তাদের বেঁধে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান দুজনকে মারধর করে ছেড়ে দেন। পরের দিন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর শ্যালিকা আত্মহত্যা করে।
তবে সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনা মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, স্থানীয় চৌকিদার ইসমাইল হোসেনসহ কয়েকজন এক ছেলে ও এক মেয়েকে তাঁর কাছে নিয়ে আসে। তিনি তাদের বকাবকি করে ছেড়ে দেন।
আর চৌকিদার ইসমাইল হোসেনের ভাষ্য, আপত্তিকর সম্পর্কের ঘটনাটি জানানোর পর স্থানীয় চেয়ারম্যান তাঁকে ছেলে ও মেয়েটিকে বেঁধে তাঁর কাছে নিয়ে যেতে বলেন। ছেলে-মেয়ে দুটিকে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান ছেলেটিকে মারধর করেন আর মেয়েটিকে বকাবকি করে ছেড়ে দেন।