ক্রাইমবার্তা রিপোট:নগরীর একটি বিদ্যালয়ের দফতরির বিরুদ্ধে এতিম তিন শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে অন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন।
দুপুরে অভিযুক্ত দফতরি বাচ্চু হাওলাদারকে পুলিশ আটক করে। ৫, ৭ ও ৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রীরা সরকারি শিশু সদনের সদস্য এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
লাকী ও কুলসুম নামে দুই অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের দফতরি বাচ্চু হাওলাদার শিশু সদন থেকে প্রতিদিন ছাত্রীদের স্কুলে আনা-নেয়া করে। এ সুযোগে কখনও ক্লাস শুরু হওয়ার আগে, আবার কখনও ছুটির পরে নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ এবং বাথরুমে নিয়ে শিশুদের একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই দফতরি।
এক সপ্তাহ আগে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অন্য শিশুদের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে আমরাও শিশুদের মুখে ঘটনা শুনি। তাদের কথামতো ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তমাখা টিস্যু পেপার দেখতে পাই।
অভিভাবকরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে দফতরি এ ধরনের কাজ করে আসছে। বিষয়গুলো তারা বিদ্যালয়ের সভাপতি এমএম মাসুদ মাহমুদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয়কে জানান। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান না করায় তারা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হন। তারা জানান, ওই ঘটনার পর অনেক মেয়ে ভয়ে স্কুলে আসছে না। তাই এতিম এ শিশুদের ওপর অন্যায়ের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বলেন, শিশুদের মুখে ধর্ষণের কথা শুনেছি। দফতরিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দফতরিকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।