হুমকির মুখে মিয়ানমার, কঠিন চ্যালেঞ্জে সুচি

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :শুধু রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ নয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করলেও দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব সুচি সরকারের ওপর আরো শক্তভাবে চেপে বসায় মিয়ানমার আর্থসামাজিক দিক থেকে আরো বেশি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। মিয়ানমারে পশ্চিমা দেশ থেকে শুরু করে একাধিক দেশ যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখছে তা দেশটির বিদ্যমান সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে সুচির সকল সম্ভাবনা কর্পুরের মত উবে যাবে। শুধু যে রাখাইন অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ চলছে এবং এতে মিয়ানমারকে নিয়ে বিশ্বের ধারণা পাল্টে যাচ্ছে তা নয়, এর বাইরেও আরো বেশ কিছু নেতিবাচক সূচক রয়েছে যা দেশটির সম্পর্কে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ফের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
22
রাখাইন অঞ্চলে শুধু রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাযজ্ঞ নতুন নয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে ধর্ষণ অন্যতম একটি অস্ত্র এবং তারা এ অস্ত্র কোচিন, শান সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দশকের পর দশক ধরে প্রয়োগ করে আসছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞে মালয়েশিয়া প্রতিবাদ করলেও সিঙ্গাপুরের চ্যানেল নিউজ মিয়ানমারের অং সাং সুচির যে সাক্ষাতকার নিয়েছে তাতে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি এই নেত্রী বলেছেন, তার সরকার ও সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এজন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা দরকার। কিন্তু স্যাটেলাইট থেকে তোলা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়া পিক নামে একটি রোহিঙ্গা গ্রামের ছবি বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ নিশ্চিত হয়েছে যে মিয়ানমারের সৈন্যরাই গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ছবিতে দেখা গেছে গ্রামটি যখন জ্বলছিলো, তখন আশপাশে সেনাবাহিনীর ট্রাক যাতায়াত করছিলো।

এইচআরডব্লিউ এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত থাকার প্রমাণ হাজির করলো। কিন্তু মিয়ানমার সরকার সবসময় বলছে, সৈন্যরা নয় বরঞ্চ রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিচ্ছে।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া বিভাগের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস্ বলছেন, “এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে সৈন্যদের চোখের সামনে ওয়া পিকের ৩০০ বাড়ি এক মাস ধরে জঙ্গিরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল, আর সৈন্যরা সেটা বসে বসে দেখলো। তিনি বলেন, স্যাটেলাইটের এই ছবির পর বার্মিজ সরকারি কর্মকর্তারা ধরা পড়ে গেছেন, তাদের ক্রমাগত অস্বীকৃতি যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে, সেটা এখন তাদের স্বীকার করা উচিৎ।”

এইচআরডব্লিউ’র সর্বশেষ এই বক্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছে, মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র জ ঠেই বলেছেন রাখাইন রাজ্যের ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে, সুতরাং এখন তারা কোনো মন্তব্য করবেন না।

নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর সুচি ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ১ বছর হতে চললেও এখনো মিয়ানমার চলছে সেনাবাহিনীর রচিত সংবিধানের নির্দেশনায়। এর ফলে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করলেও মিয়ানমার যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। মিয়ানমারের সরকারও পরিস্থিতি সঠিকভাবে সামাল দিতে পারছে না। দেশটির সেনাবাহিনী ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দীর্ঘদিনের কৌশলে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এমনকি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেখানকার বৌদ্ধ নেতাদেরও জঙ্গি মনোভাবে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এর ফলে গণতান্ত্রিক আবহ সৃষ্টি করতে সুচি ব্যর্থ হচ্ছেন। এজন্যে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে গেলে এখনো সুচিকে মন্তব্য করতে হচ্ছে, মনে রাখতে হবে তার দেশ দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের নাগপাশে বন্দি ছিল।

নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরও মিয়ানমারে সামরিক শাসনতন্ত্রের বেড়াজাল আরো শক্ত হয়ে ভিন্ন উপায়ে সরকারের উপর চেপে বসেছে।  গত বছর নভেম্বরে নির্বাচনের পর মিয়ানমারে কোনো মৌলিক পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। যে পাঁচটি বড় ধরনের হুমকি মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা দিয়ে রেখেছিল সেগুলোর কোনো মীমাংসায় আসতে পারেনি সুচি সরকার। অর্ধশত বছর ধরে সামরিক শাসকরা দেশটির অর্থনীতিতে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করে ছিল, নৃশংসভাবে জাতিগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতা চালিয়ে আসছিল, রাজনীতিকদের ওপর এক ধরনের কঠিন বিধিনিষেধ চেপে বসে আছে যে কারণে মিয়ানমারে যা ঘটছে তা তারা না পারছেন বলতে, না পারছেন সংস্কার ও নতুন উদারীকরণের পথে যাত্রা শুরু করতে। রাজনীতিকরাও এখন স্পিকটি নট!এর ফলে মিয়ানমারের তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামরিক শাসন মুক্ত যে বিরাট এক প্রত্যাশার জন্ম নিয়েছিল তা সুদৃঢ় হতে পারেনি, সম্পদ সমৃদ্ধ জাতি হয়েও তারা সম্ভাব্যপূর্ণ দ্বারোদঘাটন করতে পারছে না। এজন্যেই দেখা যাচ্ছে মগ যুবকরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, তাদের বাড়ি ঘরে আগুন ও লুঠপাটে অংশ নিচ্ছে।

আরেকভাবে দেখতে গেলে বলতেই হয়, পূর্বে যে সামরিকতন্ত্র দেশটির নির্বাহী, বিচার বিভাগ সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়যন্ত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রেখেছিল তারাই এখনো তা একটু ভিন্ন কৌশলে করছে, সুচিকে এজন্যে তারা আপোসকামিতায় মগ্ন হতে বাধ্য করতে সফল হয়েছে। কারণ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় এতটুকু নড়চড় হয়নি তা সুচির কথা ও কাজে পরিস্কার টের পাওয়া যাচ্ছে। সেনাবাহিনী রচিত সংবিধান বলছে, বিদেশি নাগরিককে বিয়ের কারণে সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই যা নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ে সামান্যতম পরিবর্তন করতে পারেনি। ‘বিদেশি শক্তির কাছে আনুগত্য’এই কারণ দেখিয়ে সুচি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি, তাহলে সেই সূচি এই গ্লোবাল ভিলেজে কিভাবে মানবাধিকার রক্ষায় বিন্দুমাত্র পদক্ষেপ নিবেন, তার দেশকি দুনিয়ার বাইরে অবস্থিত জঙ্গলের আইনে পরিচালিত কোনো ভূ-ভাগ হয়ে থাকবে, আর সুচি গণতন্ত্রের কথা বলতেই থাকবেন।  তাই সুচিকে স্টেট কাউন্সিলর হয়েই রাষ্ট্রনায়োকচিত ভূমিকা থেকে যোজন যোজন দূরে থাকতে হচ্ছে। তাহলে মিয়ানমারের জনগণকি সুচিকে বেছে নিতে কোনো ভুল করেছিল। তিনি বলছেন, তার দল অনেক শক্তিশালী ও ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে কিন্তু তা কি শুধু সংসদে তাকে চারটি মন্ত্রণালয়ের পদ অলংকৃত করতে কেবল মাত্র সন্তষ্ট করেনি।

মিয়ানমারের সংবিধানের ভঙ্গিটাই এমন যে সামরিকতন্ত্র নতুন বেসামরিক প্রশাসনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব আগের মতই বজায় রাখবে। এমনকি রাজনীতিতেও। সংসদের এক চতুর্থাংশ পদ সামরিক কর্তাদের দখলে থাকায় কমান্ডার ইন চিফ এখনো সংবিধান সংশোধনীতে ভেটো দিতে পারছেন। তাই রাজনীতিবিদরা মিয়ানমারের জনগণকে শুধু এ আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন যে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তারা আদতেই পথ চলা শুরু করতে পারবেন।

সুচি মিয়ানমারের ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি। এখনো প্রচ- বিদ্যুৎ সংকটে দেশটির প্রধান শহরগুলো অন্ধকারে ডুবে থাকে। রেলপথ ও সড়কপথ সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির ওপর অবরোধ চেপে থাকায় অব্যবস্থাপনা যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল তার পরিবর্তন এখনো চোখে পড়ছে না। জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ভাগ থাকলেও তা অর্জন করা হবে খুবই কঠিন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নে ৬০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও তা দেশটির আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে কতটা বাস্তবায়িত হবে, সন্দেহ রয়েছে।

বিনিয়োগে মিয়ানমারে এখনো বড় বাধা হচ্ছে ভূমির প্রাপ্যতা, অদক্ষ জনবল, ব্যাপক শিশু শ্রম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পাঞ্চলে সামরিকতন্ত্রের কঠিন প্রভাব ও প্রাধান্য। মিয়ানমারে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রিসিলা ক্ল্যাপ টাইমসকে বলেছেন, অর্থনীতিতে এখনো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গভীরভাবে জড়িত। বিনিয়োগে আগে সামরিক জেনারেলদের বাগে আনতেই বিরাট সময় চলে যায়। প্রিসিলা আরো বলেন, এখনো সেনাবাহিনীর জেনারেলরা আগের মতই সবকিছুতেই মাথা গলান। এ পরিস্থিতি মিয়ানমারকে কোথায় নিয়ে যাবে জানিনা। পরিস্থিতি হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর ধরে হাতীকে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখার মত।

মিয়ানমার এখনো যুদ্ধে লিপ্ত। ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী কম্যুনিষ্টদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, এরপর জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর এখনো জাতিগত নিধন অব্যাহত রেখেছে। গত বছর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে এধরনের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন বন্ধে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিধনের মধ্যে দিয়ে সে চুক্তির কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু মিয়ানমারের বেসামরিক প্রশাসন এধরনের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেনাবাহিনীর জেনারেলকে নিযুক্ত করা হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসন সেনাবাহিনীর মতের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম নয়।

মিয়ানমারের কুখ্যাতি ছিল চীন, থাইল্যান্ড ও লাওসের সঙ্গে ত্রিমাত্রিক অবস্থান বা গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল হিসেবে। এখনো তা কাটেনি। বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশি দেশগুলোতে কোটি কোটি পিস ইয়াবা চালান ছাড়াও আফগানিস্তানের পর মিয়ানমার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে অপিয়াম চাষ করছে এবং এ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। চীনের হিরোইন চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে মিয়ানমার। সিনথেটিক ড্রাগ যেমন মেথ উৎপাদনে মিয়ানমার এ অঞ্চলে একটি হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও মাদক সমস্যা সংকট হয়ে রয়েছে। মাদক ব্যবসা থেকে বিশাল আয় ও সেনাবাহিনীর এতে জড়িত থাকার বিষয় এক কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

আরকান ও আকিয়াব বন্দর ইতিহাসে বিশাল অর্থনীতির হাব হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আছে। এর পেছনে ছিল রোহিঙ্গা মুসলমানরা। অথচ এ জাতিগোষ্ঠীকে নাগরিক পরিচয় দিতে অস্বীকার করছে মিয়ানমার।  রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়ার পর মাত্র দশ লাখ রোহিঙ্গা অবশিষ্ট আছে রাখাইন অঞ্চলে। সাবেক প্রেসিডেন্ট থিয়েন শেইন ও তার পূর্বসূরীরা চারবছর ধরে জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও এবং জাতিনিধন থেমে আসলেও এখন ফের নতুন করে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ চলছে।

এছাড়া সুচির সমালোচনা করছেন বৌদ্ধদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীরাও। বৌদ্ধ সম্প্রদায় বলছে সুচি রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি পক্ষপাত করছে। অথচ রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ চললেও সুচি রাখাইন অঞ্চল পরিদর্শন করতে যাননি। সুচির কোনো পরিস্কার নীতিও দেখা যাচ্ছে না রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে নিয়ে। ফলে এধরনের জাতিনিধন বন্ধ হওয়ার কোনো আশাও দেখা যাচ্ছে না।

মিয়ানমার ঐতিহ্যগতভাবে নিপীড়নকে এখনো ধারণ করে আছে। এ্যামেনেষ্টির এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১’শ রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। শিক্ষা সংস্কার কিংবা জমি বাজেয়াপ্তের মত বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ করলেও তরুণদের যেতে হচ্ছে কারাগারে। সুচি ক্ষমতায় আসার পর এপর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য প্রকাশ করায় ৯০ জন সাংবাদিক, ফেসবুক ব্যবহারকারী ও ছাত্রকে কারাগারে যেতে হয়েছে। এ্যামেনেষ্টির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রধান চম্পা প্যাটেল বলেন, যদিও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা দেয়ার সুযোগ নিতে পারেন কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রভাব থাকায় এবং সুচির রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে নিস্ক্রীয় ভূমিকা পালন করায় আটক ব্যক্তিদের মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মানবাধিকারের বিন্দুমাত্র যা কিছু আছে তা কিতাবেই আটকে থাকছে। আটক ও গ্রেফতার চলছে আগের সামরিক জমানার মতই।

Check Also

শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া কূটনৈতিক পত্র গ্রহণ করেছে দিল্লি। এ তথ্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।