ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুরে আতিকুর রহমান (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আতিক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করত।
ওই ইটভাটার এক শ্রমিক জানিয়েছে, কাজের সময় ঘটা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে আতিক। পরে আতিকের লাশ ইটভাটার মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ছেলের কোনো সন্ধান পাননি আতিকের বাবা আবদুর রশিদ। গত শুক্রবার রাত থেকে আতিক নিখোঁজ। আতিক গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মীরেরগাঁও কারখানা বাজার এলাকায় দেওয়ান ব্রিকসে কাজ করত।
আজ বুধবার পুলিশ ওই ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো ট্রাকচালক আবদুল আলিম (৩২), ইটভাটার শ্রমিক খোরশেদ আলম (২২), শাহিনুর রহমান (২২) ও শফিকুর রহমান টাইগার (২৩)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ জানান, স্থানীয় বিপ্রবর্থা এলাকার আতিকুর রহমান (১৫) এবার কাউলতিয়া জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে দরিদ্র পরিবারের সন্তান আতিক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ নেয়।
গত শুক্রবার রাতে আতিক ইটভাটার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। আতিক নিখোঁজ হওয়ার পর গত সোমবার দুপুরে তার সঙ্গে থাকা ওই চারজনকে ডেকে স্থানীয়রা সালিস করে। এ সময় তারা একেকবার একেক তথ্য দিলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান আটকদের ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত শনিবার ভোরে আটকদের সঙ্গে স্কুলছাত্র আতিকুর রহমান (১৫) একটি ট্রাকে ইট নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পরে ঢাকার আজিমপুর এলাকায় ইট নামানোর সময় ট্রাকের ঢালার আঘাতে আতিক মারা যায়। সেখান থেকে তার লাশ এনে ইটভাটার মালিক ইমরান দেওয়ানের কাছে হস্তান্তর করে বলে জানায় আটক শাহীনুর। ইমরান দেওয়ান কৈফিয়ত এড়াতে লাশটি তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর না করে ওই ইটভাটায় ফেলে পুড়িয়ে দিতে পারে বলেও আটক শাহীনুরের ধারণা।
তবে জ্বলন্ত ইটভাটায় যদি লাশটি ফেলেও থাকে তা উদ্ধার করা সময়সাপেক্ষ বলে মনে করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। আটকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আজ বুধবার ওই ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়।
ইটভাটার মালিক ইমরান ও ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে উভয়ে পলাতক। উভয়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।