ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে বেশ অস্থির হয়ে পড়ে ফ্যাশন দুনিয়া। ফার্স্ট লেডিদের নিয়ে অনেক উন্মাদনা হয়েছে ফ্যাশন দুনিয়ায়
কিন্তু সাবেক সুপার মডেল এই নতুন ফার্স্ট লেডির ফ্যাশন নিয়ে সমালোচনা করতে ভয় পাচ্ছেন বলেই জানান ফ্যাশন ব্লগাররা। মিসেস ট্রাম্পের স্টাইল নাকি তাদের কাছে মোটেও ভালো নয়। এ নিয়ে কটু কথা বললে ট্রাম্পের সমর্থকদের বিশাল আর্মি তাদের ওপর হামলে পড়তে পারে।
ফ্যাশন ব্লগার টম ফিটজেরাল্ড এবং লরেঞ্জো মার্কুয়েজ ইতিমধ্যে রেড কার্পেটে সেলিব্রিটিদের পোশাক নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনার জন্য বিখ্যাত। এমনকি এরাও মেলানিয়ার বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করছেন।
কিউঅ্যান্ডএ ক্যাফের সঙ্গে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার সিরিজের সঞ্চালক ছিলেন ক্যারোল জয়ন্ত। তারা বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম দিকের ফ্যাশন সম্পর্কে কথা বলেন। সে সময় তার ফ্যাশন বিষয়ে আমরা অনেক কিছুই বলেছি ও করেছি। কিন্তু একই কাজ মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে করে ব্যবসাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে চাই না। ট্রাম্পের সমর্থকরা চটে যেতে পারেন। আমরা আসলে তাকে ভয় করছি না। তার সমর্থকদের ভয় করি। মেলানিয়াকে সমর্থকরা পছন্দ করেন। তিনি তাদের রানি। তাই যদি বলি তার ফ্যাশন ধারণা জরাজীর্ণ, তো ভক্তরা কিছু করে বসতে পারেন।
ট্রাম্পের মহা ক্ষমতাধর অবস্থানে আসীন হওয়ার আগে স্টাইল আইকন হিসাবে তার সম্পর্কে প্রথমবারের মতো কথা বলা হচ্ছে না। তবে তারা শব্দ নির্বাচনে বেশ সাবধান হয়ে গেছেন।
মার্ক জ্যাকোবস জানান, মেলানিয়া ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে কোন ধরনের পোশাক নির্বাচন করেন সে বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। তবে আমি অন্যদের দিকে নজর দিতে রাজি আছি।
কয়েক বছর আগে তার পোশাক তৈরি করে দিতে আমাকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা করতে রাজি হইনি। আমার ডিজাইনের ইমেজ তুলে ধরতে তাকে দরকার নেই, এ কথা জানান টম ফোর্ড। এমনকি হিলারি জিতলেও যে তাকে আমার পোমাক পরতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমার পোশাকগুলো অনেক বেশি দামি। আর আমি তাদের কথা খারাপ অর্থে বলছি না।
আমেরিকার ফার্স্ট লেডি হিসাবে তার ফ্যাশন অবশ্যই বিশ্বাবাসীর কাছে কোনো মেসেজ রাখবে। আর সে বিষয়ে তার খেয়াল রাখা দরকার বলেই মনে করেন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট