ক্রাইমবার্তা রিপোট:নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতবিনিময় সভায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য দেন। ছবি : নিউজরুম ফটো
কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ মনে করে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আজকে আমি দেখেছি, আমার কাছে বিভিন্ন স্থান থেকে খবর এসেছে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
ভোটের সাতদিন আগে আজ বৃহস্পবার নারায়ণগঞ্জে সব প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতবিনিময় সভায় সাখাওয়াত হোসেন খান এই অভিযোগ করেন।
তাঁর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘যে শঙ্কাগুলোর কথা সাখাওয়াত ভাই বললেন, আসলে কি আমি সে রকম মানুষ? আমার কি বাহিনী আছে? আমি কি কোনো সন্ত্রাসী লালন করি? আমি কি আপনাদের কারোর গায়ে হাত দিতে পারি? আমি শুধু আপনাদের কাছে অনুরোধ করব যে আপনারা এমন একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেন যাতে এখানে সরকার কোনো বিতর্কিত না হয়।’
মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) পেয়ে অন্য প্রার্থীদের বক্তব্যেও যে কথাটা ঘুরে ফিরে এসেছে তা হলো, ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে তো?
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. মাছুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমাদের শঙ্কা আছে, শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট হবে কি না? আমরা ভোট দিতে পারব কিনা?’
বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, ‘১০টা ১১টা পর্যন্ত খুব ভালো ভোট চলে। ১১টার পর থেকে শুরু হয় নির্বাচনবিরোধী তৎপরতা।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে আমাদের নিরীহ ভোটাররা যদি সুষ্ঠু মতো শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় বেশির ভাগ প্রার্থী আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি তোলেন। এ নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদপ্রার্থী ছাড়াও ১৫৬ জন কাউন্সিলর পদে এবং ৩৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আইন মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কঠোরভাবে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় তিনি প্রার্থীদেরও সহযোগিতা কামনা করেন।
সিইসি আরো বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে আপনারা ইচ্ছে করলেই এই নির্বাচন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। আমি আবারও আমার নির্দেশনা দিচ্ছি, প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে।