ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:মোহালিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ঝগড়া লেগেছিল বিরাট কোহলি ও বেন স্টোকসের মধ্যে। সেখানে আইসিসির কাছ থেকে শাস্তি পেলেন স্টোকস। মুম্বাইয়ে পরের টেস্টেও হলো ঝামেলা, এবার জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলো রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। এবারও ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন শুধু ইংল্যান্ড পেসারই। অশ্বিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ম্যাচ রেফারি, কিন্তু কোনো শাস্তি পেতে হয়নি ভারতীয় স্পিনারকে।
এ থেকেই স্টোকসের উপলব্ধি, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারগুলোতে ভারতের খেলোয়াড়দের সুবিধা দিচ্ছে। সরাসরি কিছু বলেননি, তবে যে সুরে কথা বলেছেন স্টোকস, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, আইসিসির এমন ‘একপাক্ষিক’ বিচারে মোটেও খুশি নয় ইংল্যান্ড। খেলোয়াড়ের নাম কী, কিংবা কোন দলে খেলেন—এসব বিবেচনা না করেই শৃঙ্খলাজনিত বিষয়গুলো বিচার করার জন্য বলছেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার।
সাংবাদিকদের স্টোকস বলেছেন, ‘এগুলো (খেলোয়াড়দের কথা-কাটাকাটি) খেলারই অংশ। এগুলোকে কেন দমিয়ে রাখতে চায়, সেটিরই কোনো কারণ খুঁজে পাই না। কিন্তু তা যদি করতেই হয়, তবে সবার জন্য নিয়মটা একই হওয়া উচিত। কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে নির্দিষ্ট ব্যাপারে ছেড়ে দেবেন, অন্যদের দেবেন না, এটা হতে পারে না। যদি কোনো একজনের বিচার করেন, অন্যজনেরও করতে হবে। তা তিনি যে-ই হোন বা যে দলেই খেলেন না কেন।’
কথা শুনে মনে হতে পারে, স্টোকসের ইঙ্গিতটা কোহলি ও অশ্বিনের শাস্তি না পাওয়ার দিকে। ইংলিশ অলরাউন্ডারকে জিজ্ঞেসও করেছিলেন সাংবাদিকেরা, কোহলি ও অশ্বিনের ম্যাচ রেফারিরা আগলে রাখছেন কি না। স্টোকস অবশ্য কারও নাম নেননি, ‘আমি জানি না (ম্যাচ রেফারি কোহলিদের আগলে রাখছেন কি না), অত ভাবিও না এসব নিয়ে। তবে যিনিই শৃঙ্খলাজনিত বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন, তাঁর উচিত হবে সবার জন্য একই বিচার করা।’
তবে আইসিসিকে বাঁকা কথা শোনালেও কোহলির প্রতি ব্যক্তিগতভাবে স্টোকসের কোনো রাগ নেই। ভারত অধিনায়ককে যথেষ্ট সম্মান করেন তিনি। এ-ও জানালেন, দুজনের যেমন আবেগ, তাতে মাঠে এমন কথা-কাটাকাটিও আরও হতে পারে, ‘আমরা দুজনই অনেক প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের, আবেগের প্রকাশও অনেক বেশি করি। এটাই সম্ভবত শেষবার নয়, এমন কিছুতে আরও জড়িয়ে পড়তে পারি আমরা। তবে ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাগ নেই। ও সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে, খেলোয়াড় হিসেবেও ওকে অনেক সম্মান করতে হবে।’ সূত্র : গার্ডিয়ান।