ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:অহঙ্কার আর গর্বের প্রতীক লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা। কিন্তু লাখো শহীদের রক্তে কেনা এই পতাকার সম্মান রক্ষায় কখনো কখনো উদাসীনতা দেখাই আমরা। বিজয় দিবসে যা থাকে সবার হাতে ও মাথায় তার পরেরদিনই সে পতাকা গড়াগড়ি খায় ফুটপাতে ও রাস্তায়।
বিজয় দিবসের পরের দিন হাতিরঝিলে ঝাড় দিতে ব্যস্ত পরিচ্ছন্নকর্মীরা। কিন্তু রাস্তায় শুধু ময়লা নয়, ঝাড়–র টানে স্তুপে জমছে জাতীয় পতাকাও। হাতিরঝিলে ঘুরে এখানে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। এ পতাকার কোনটা কাগজের তৈরি আবার কোনটা কাপড়ের।
এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হবার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তাদের আশঙ্কা সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এই অভ্যাস ক্রমেই সংস্কৃতিতে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনের আতুড়ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যায় একই চিত্র। ফুটপাত আর ডাস্টবিনে পড়ে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া লাল-সবুজ পতাকা। আবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ওদ্যান। যেখানে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আর ১৬ই ডিসেম্বর পাক-হানাদারদের আত্মসমর্পন। সেখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল জাতীয় পতাকা। এগুলোকে পায়ে দলেই খেলছে নতুন প্রজন্ম। অথচ ১৯৭২-এর বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালায় উল্লেখ আছে জাতীয় পতাকা ব্যবহার ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখার সকল নিয়ম। কিন্তু এতে কারো যেন নজর নেই।
সমাজবিজ্ঞানী ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, জাতীয় পতাকা যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া বা পতাকার সম্মান না করা এটি যাতে সংস্কৃতিতে পরিণত না হয় তার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যারা আছেন তাদেরকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের পতাকা আইনে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে জাতীয় পতাকা ব্যবহারে অনুপযুক্ত হলে তাকে সম্মানের সহীত সমাধিস্ত করতে হবে। অথচ তা না করে এভাবেই ডাস্টবিনে, ফুটপাতে অথবা রাস্তায় পড়ে থাকে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, একদিনের চেতনাধারী না হয়ে লাল-সবুজের এই ভালোবাসাকে ধারণ করতে হবে বুকে। যার সুতিকাগার হতে হবে পরিবারকে। -যমুনা টিভি থেকে মনিটর