মোঃ আকবর হোসেন,তালাঃ তালা উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামে মোমিনুর সরদার নামের এক কৃষকের চার শতাধিক কুল গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দূর্বৃত্ত চক্র। প্রায় এক একর জমিতে রোপিত উক্ত গাছ কেটে দেওয়ায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ডায়েরি হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুল বাগান কেটে সাবাড় করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগি কৃষক জানান। ভুক্তভোগি কৃষক মুড়াকলিয়া গ্রামের মৃত আবুল সরদারের পুত্র মোমিনুর সরদার জানান, শুক্রবার গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার প্রায় এক একর জমিতে রোপনকৃত চারশতাধিক ছোট-বড় কুল গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে একটি দূর্বৃত্ত চক্র। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি কৃষক মোমিনুর সরদার তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং ৬৬৭,তারিখ ১৬.১২.১৬ ইং। তালা থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তালায় সপ্তম শ্রেনীর ১৩ বৎসরের কন্যা অপহরন
তালাঃ তালা উপজেলার তালা ইউনিয়নের কেসমতঘোনা গ্রামের তপন দাসের কন্যা সারতি নামের সপ্তম শ্রেণীর ১৩ বৎসরের মেয়ে অপহরন করেছে তেতুলিয়া গ্রামের দাওনিপাড়া এলাকার মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে মোঃ মোকলেছুর রহমান (২২) । ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধা আনুমনিক ৬টার দিকে ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়,মোখলেচুর রহমান সোবাশুনি কলেজের ডিগ্রি ২য় বষেরও ছাত্র এবং দাউনিপাড়া পোষ্ট অফিসে ই সেবা কেন্দ্রে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো । উক্ত পোষ্ট অফিসে ই সেবা কেন্দ্রে তপন দাসের কন্যা সারতি নামের সপ্তম শ্রেণীর ১৩বৎসরের মেয়ে তার কাছে কম্পিউটার শিখতো । মোখলেছুর বিভিন্ন লোভ দেখাইয়া তাকে ভুল বুঝিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধা আনুমনিক ৬টার দিকে তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় । মেয়ের বিরহে তার পিতা/মাতাসহ আতœীয়স্বজনরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে । একতো তারা জাতিতে ঋষি তার উপর ছোট মেয়েকে অন্য ধর্মের একজন অপহরন করেছে সেই ভাবনায় এখন তাদের রাত্রদিন হারাম হয়ে গেছে । কোন কুল কিনারা খুজে পাচ্ছেনা তারা । মেয়ের খোজ নিতে গেলে ,মোখলেচুর রহমানের বাড়ীর লোকজন তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে । এ ব্যাপারে মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে মা এবং বাবাকে(তপন দাসের) পাওয়া না গেলে, সারতির ছোট বোন বলেন, আমার দিদিকে কোথায় নিয়ে গেছে আমরা কেউ জানিনা । আমার বোনকে এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন । নাম না বলা স্বর্থে এক ব্যক্তি বললেন, আমি জানি মেয়েকে মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে মোঃ মোকলেছুর রহমান অপহরন করেছে । এখন মিটাইয়া নেয়ার জন্য জোর তদবির চালাচ্ছে । এরপর মোকলেছুর রহমানের বাড়ীতে গেলে তার ভাবী বলেন বসেন আমার স্বামী মশিউর রহমান এই জন্য আমাদের পুরাতন বাড়ী গেছেন । কিছুক্ষন পরে তার ভাই মোঃ মশিউর রহমান এসে জানান, গত বুধবার একই এলাকার মোঃ আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি রাত্র ১১ টার দিকে ফোন করে আমাকে বলেন তোমার ভাই কোথায় ? আমি বললাম জানিনা । সে আরও বললো তোমার ভাই তপন দাসের কন্যা সারতি নামের সপ্তম শ্রেণীর ১২বৎসরের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে । এর পর তার ফোন নম্বরে ফোন করলে সে ফোন ধরে না এবং অদ্যবদি কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছেনা । আপনার ভাই অন্য ধর্মের মেয়েকে অপহারন করেছে থানায় কোন অভিযোগ দাখিল করেছেন কিনা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন ভায়ের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই । ছোট বিধর্মী মেয়েকে অপহরন করে আমার ভাই বড় অপরাধ করেছে তার সাজা হওয়া উচিৎ । এমনই কথা বলছিলেন মশিউর রহমানে স্ত্রী, মোকলেছুর রহমানের ভাবী মালিনা আক্তার (৩৩) । তবে তার পিতা মোঃ আতাউর রহমান এবং মাতা জরিনা বেগম বলেন আমার ছেলের কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না ।