মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে সাতাক্ষীরা জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জেলা জনশক্তি অফিসের আায়োজনে জেলা অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ নুর হোসেন সজল’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্সবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আফসানা কাওছার, সহকারী পুলিশ সুপার আতিকুল হক, সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুজ্জামান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ, ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা ব্রাক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা আছাফুর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অগ্রগতি সংস্থার কো অর্ডিনেটর অসীম ব্যানার্জী।
নলকূড়া তরুন সংঘ ও নলকূড়া নাট্য গোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলেক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে সদরের ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের নলকূড়া গ্রামে নলকূড়া তরুন সংঘ ও নলকূড়া নাট্য গোষ্ঠীর যৌথ আয়োজনে নলকুড়া তরুন সংঘের সভাপতি শেখ আমিনুর হোসেনের সভাপতিত্বে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোতাহার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নলকুড়া নাট্য গোষ্ঠীর সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন, নলকুড়া তরুন সংঘের উপদেষ্টা মীর হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক মীর কাইযুম আলী পিন্টু, ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আমির হোসেন প্রমুখ। আরো বক্তব্য রাখেন শেখ আব্দুল মতিন, মুকুল, সজল, নাহিদ, রিজভী, শেখ শফিকুল ইসলাম, শেখ আরিফুল ইসলাম, তৌকির হাসান প্রমুখ।
প্রতি বছরের ন্যায় অনুষ্ঠান মালার মধ্যে ছিল ১৬-ই ডিসেম্বর সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ভাষা আন্দোলনে সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের মধ্য দিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং ১৬ ও ১৭-ই ডিসেম্বর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ১৮ ডিসেম্বর পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান মালার সমাপ্তি হয়েছে।সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মীর হায়দার আলী।
জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : মহান বিজয় দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা ভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মিসেস মমতাজুন নাহার (ঝর্ণা)’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস্ রিফাত আমিন। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য এড. ফরিদা আক্তার বানু, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মো. আনছার আলী, জাতীয় মহিলা সংস্থার মাঠ সমন্বয়কারী মোকছেদ আলী প্রমুখ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য এড. ফরিদা আক্তার বানু।
তায়কোয়ানডোতে নবজীবন ইনস্টিটিউটের রৌপ্য পদক লাভ
ফিরোজ হোসেন : বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন আয়োজিত তৃনমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচী -২০১৬ বাছাই পর্বে মাহফুজ হাসান সাতক্ষীরা জেলায় ২য় স্থান অধিকার করে রৌপ্য পদক পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সে সাতক্ষীরার নবজীবন ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। মাহফুজ হাসান মেধাবী ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসাবে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের চুড়ান্ত বাছাইপর্বে অংশ গ্রহন করেছে। তার এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন নবজীবন এর নির্বাহী পরিচালক তারেকুজ্জামান খান, নবজীবন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান মোল্যা, খান ফাহিম আল-ফুয়াদ সহ নবজীবনের সকল স্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। সে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী ।
উপ সম্পাদকীয় –
দরিদ্র মানুষ ও কর বৈষম্য
আব্দুল আলিম
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বেশ এগিয়ে গিয়েছে, যেমন: প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধি, মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, দারিদ্রতা হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি। এ উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারের জন্য কিছু বড় চ্যালেঞ্জও আছে যার মধ্যে অথনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ অন্যতম। আর এ সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয় সারা পৃথিবীর জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ! সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরোক্ষ কর বৃদ্ধির প্রবণতা এ সমস্যাকে আরো উস্কে দেয়া সহ স্বল্প আয়ের মানুষের উপর আর্থিক চাপও বৃদ্ধি করেছে। ধনী-দরিদ্রের এ বৈষম্য হ্রাস করার জন্য প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ওপর বেশি জোর দিয়ে দরিদ্র জনগণের উপর পরোক্ষ করের বোঝা কমাতে হবে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে করের আওতা না বাড়িয়ে করের বোঝা বৃদ্ধি করাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আবার ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের রাজস্ব প্রাপ্তির খাত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রত্যক্ষ করের তুলনায় পরোক্ষ কর থেকে প্রাপ্তি অনেক বেশি যার দায়ভার মূলত সাধারণ জনগণের উপরই বর্তেছে। অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলোর সংগৃহীত কর রাজস্বের সিংহভাগই আসে আয়কর খাত থেকে যেখানে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ করের অবদান মাত্র ২৫ শতাংশ এবং পরোক্ষ করের ৭৫ শতাংশ। ভারতে যেখানে ৭ শতাংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে এবং ৯৩ শতাংশ প্রত্যক্ষ কর থেকে। মালয়েশিয়ায় ৬ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৭ শতাংশ ও কানাডায় ৫ শতাংশ রাজস্ব আসে পরোক্ষ কর থেকে এবং যথাক্রমে ৯৪ শতাংশ, ৯৩ শতাংশ ও ৯৫ শতাংশ আসে প্রত্যক্ষ কর থেকে।
অন্যদিকে, কর ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে। যেমন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে বিদেশি বহজাতিক কোম্পানিগুলো ২০১৩ সালে ৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ৭০০ কোটি টাকা কর কম দিয়েছে। মূলত এ কোম্পানিগুলোর সাথে সম্পাদিত দ্বৈতকর অব্যাহতি চুক্তিগুলোতে এমন শর্ত থাকে যেখানে কর কম দিয়ে বিদেশি কোম্পানীগুলো মুনাফা নিয়ে যেতে পারে। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৯ মে ২০১৬)। ফলে দরিদ্র মানুষের উপর পরোক্ষ করের বোঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর ন্যায্যতা হ্রাস হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক এ বৈষম্য দূর করার জন্য আমাদের দেশীয় বাস্তবতার নিরিখে দ্রুত প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ জনগণের উপর পরোক্ষ করের বোঝা কমাতে হবে। প্রচারে : আশালোককেন্দ্র ও সহযোগিতায়: এসপিইডি ও একশনএইড।