তিন থেকে ২০ লাখ টাকায় প্রভাষক নিয়োগ হচ্ছে’
বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকার হাতবদল হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবি।
“আমরা ৩ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের তথ্য আমরা পেয়েছি, এটা দু:খজনক হলেও সত্য – কিন্তু এটা একটা গুণগত গবেষণা, তাই ঠিক কতটা দুর্নীতি হচ্ছে তা আমরা বলতে পারছি না।”- বিবিসি বাংলাকে বলেন মোহাম্মদ রফিকুল হাসান টিআইবির গবেষণা বিভাগের পরিচালক।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নামের সংস্থাটি আজ এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়,আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও রাজনৈতিক বিবেচনাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে, পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে নিয়োগ বোর্ড গঠন এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার নানা দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করে টিআইবির রিসার্চ ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান বিবিসি বাংলার মাসুদ হাসান খানকে বলেন, এসব পদে নিয়োগের আগে থেকেই একধরণের ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ করা হচ্ছে বলে তারা দেখতে পেয়েছেন।
“হয়তো নতুন শিক্ষকের প্রয়োজন নেই কিন্তু বলা হচ্ছে প্রয়োজন আছে। অনেককে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে – এমনটাও দেখেছি।”
“কাকে নেয়া হবে তা যেন আগে থেকেই যোগসাজশের ভিত্তিতে ঠিক করে রাখা হয়” – বলেন তিনি।
রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে – এবং এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে ভোটার কনফার্ম বা দলীয় সমর্থক বৃদ্ধি করার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে -বলেন মি. হাসান।
তার কথায়, মেধাভিত্তিক না হয়ে শিক্ষক নিয়োগে এখন রাজনৈতিক বিবেচনা, স্বজনপ্রীতি বা আঞ্চলিকতার প্রভাব চলে এসেছে।
মি. হাসান বলেন, তাদের তথ্যের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই, কারণ তারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এ সংক্রান্ত প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক,উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এরকম বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলেএ তথ্যগুলো পেয়েছেন।
এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু নীতিমালা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুপারিশ করেছে টিআই বি।