ইয়াঙ্গনে আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ সোমবার, যেখানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
মিয়ানমারের সরকারি দলের শীর্ষ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সাং সু চি বৈঠকের আয়োজক।
এই বৈঠকে যোগ দিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশে কথা বলতে রাতেই ঢাকায় আসছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে বহু রোহিঙ্গাকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের পর এ নিয়ে বিস্ময়কর নীরবতা দেখানোয় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিজ সু চি’র বিরুদ্ধে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে তৈরি হয়েছে দারুণ চাপ, বিশেষ করে মালয়েশিয়া সরকার সরাসরি অভিযোগ করেছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছে এবং এজন্য দায়ী ইয়াঙ্গনের সরকার।
এরকম প্রেক্ষাপটে মিজ সু চি আজ সেখানে আসিয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি ডেকেছেন শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলবার জন্য।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, আসিয়ানের বৈঠকে কোন সদস্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবার ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
এদিকে বৈঠকে যোগদানের জন্য এই মুহূর্তে মিয়ানমারে থাকা ইন্দোনেশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির পরবর্তী গন্তব্য হতে যাচ্ছে ঢাকা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে আজ রাত সাড়ে ন’টার দিকে মিজ মারসুদি ঢাকায় পৌঁছবেন।
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিজ মারসুদির একটি সৌজন্য বৈঠক হবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
দুটি বৈঠকই মঙ্গলবার হবার জোর সম্ভাবনা, তবে আনুষ্ঠানিক সময় সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র হবার কারণে রাখাইন প্রদেশে চলমান সহিংসতার প্রভাব বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে পড়ছে।
প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসছে।
অনেককেই ফিরিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি।
তারপরও বিজিবির নজরদারি এড়িয়ে যে পরিমাণ শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে এখন অবস্থান করছে, জাতিসংঘের হিসেবে তার সংখ্যা হবে অন্তত ২৭ হাজার।
সূত্র: বিবিসি