সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে সাতক্ষীরার কলেজ ছাত্র গৌতম সরকারকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে আগে থেকে তাকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
গৌতম হত্যার সাথে জড়িত এজাহারভূক্ত পাঁচ আসামির দুইজন শাহাদাত হোসেন ও নাজমুল ইসলামের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে পুলিশ সুপার একথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি মহাদেবনগর গ্রামের সাজু হোসেন সম্প্রতি বিয়ে করেছে স্থানীয় সুড়িঘাটা গ্রামে। তার খুব টাকার প্রয়োজন। এজন্য সে তার প্রতিবেশি ইউপি সদস্য গনেশ সরকারকে টার্গেট করে। তিনি বলেন আটক শাহাদাত ও নাজমুলকে সাজু হোসেন গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় টেলিফোনে ডেকে আনে। পরে তারা শলা পরামর্শ করে সদস্য গনেশ সরকারের একমাত্র ছেলে কলেজ ছাত্র গৌতমকে ফোনে ডেকে আনে। গৌতমের ফোন দিয়ে তার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায় শাহাদাত। এই টাকা না পেয়ে তারা গৌতমের হাত পা ও মুখ বেঁধে মুখে গুলের কৌটা ঢুকিয়ে দেয়।
দুই আসামির জবানবন্দির ভিত্তিতে তিনি আরও বলেন ওই রাতে ঘটনাস্থলে কয়েকজন লোককে আসতে দেখে তারা গৌতমকে সরিয়ে নেয়। এ সময় গৌতম গড়াতে গড়াতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়। পরে তার লাশের সাথে ইট বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। চারদিন পর তার লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য ঃ গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউপি সদস্য মহাদেবনগর গ্রামের গনেশ সরকারের ছেলে গৌতম সরকারকে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে বাড়ির পাশে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুইজন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া দুইজনকে একদিনের রিমান্ডে এন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ##
আসাদুজ্জামান