গত বছরেও দেশটির বিচার বিভাগ বড় সংখ্যায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি মানবাধিকার সংগঠন ‘রিপ্রাইভ গ্রুপ’ এ সংখ্যা প্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
সংগঠনটির ভাষ্যে, দেশটিতে প্রতি বছরই গোপন আদালতের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের হার বাড়ছে। গোপন আদালতে সাধারণত ড্রাগ অপরাধী, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও রাজনৈতিক বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
রিপ্রাইভ গ্রুপের মতে, দেশটিতে চলতি বছরে ১৫০ জন, গেল বছরে ১৫৮ এবং এর আগের বছর ৮৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সংগঠনটি জানায়, উপসাগরীয় বেশিরভাগ দেশেই মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু রয়েছে। এক্ষেত্রে সৌদি আরব এগিয়ে, সবচেয়ে পিছিয়ে কুয়েত।
দেশটির গোপন আদালত এ পর্যন্ত যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগকেই সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করা হয়েছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে গোপন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৭ জনের একই দিনে ম্যৃতুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল কিশোর, যাদের বয়স ২০ এর নিচে।
এদিকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সৌদি সরকারের প্রতি পরিকল্পিতভাবে কিশোরদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পরে গেল সেপ্টেম্বরেও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ড বিষয়ে সৌদি সরকারকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।