ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নাসিক নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারণায় গণজোয়ার তৈরি হবে এই আশংকায় ৪৮ ঘন্টার পরিবর্তে ৭২ ঘন্টা আগেই প্রচারনা বন্ধের পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যা নজিরবিহীন। আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আর মাত্র একদিন পরেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই আমি দলের পক্ষ থেকে নাসিক নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের ব্রিফ করেছি। আজকেও আমি নাসিক নির্বাচন নিয়ে আপনাদের সামনে কিছু কথা বলতে চাই।নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধের কারণে নাসিক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশ নিতে পারলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা সার্বিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন। কোথা থেকে শুরু করে কোন কোন এলাকায় গণসংযোগ চালাবেন সেই ম্যাপও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বহিরাগতদের প্রচারণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয়ার কারনে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া সম্ভব হলো না, যা নজীরবিহীন। বিগত যে কোনো নির্বাচনে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী এলাকার বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হতো। এটাই ছিল আইন, এটাই ছিল রেওয়াজ। কিন্তু এবার সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হলো।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের কথা জেনেই ৭২ ঘন্টা আগে থেকেই নির্বাচনী এলাকার বাইরের লোকদের নির্বাচনী প্রচারণয় বিধিনিষেধ জারি করা হলো। এটা যে বিনাভোটের সরকারের নির্দেশেই করা হয়েছে সেটি উপলব্ধি করতে কোন ইনফরমেশন টেকনোলজির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন নেই। রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, মানুষের আস্থার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিলে ধানের শীষের পক্ষে আরো ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই সরকার ইসিকে দিয়ে এই পরিপত্র জারি করিয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে শুধুমাত্র ইসি আর সরকারি দল বলছে, কিন্তু যদি সরকারি দল ও বিরোধী দল একযোগে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে বলতো তাহলে বোঝা যেতো ইসি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু উল্লিখিত বিবরণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠাতে আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নাসিক নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল কিংবা ভোটাররা আশ্বস্ত হতে পারছেন না।