মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য আশুলিয়া এলাকার কারখানাগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন আমাদের উদ্যোক্তারা। কারখানায় কাজ না করলে আইন অনুয়ায়ী কোনো শ্রমিক বেতন পাবেন না।বিজিএমইএ সভাপতি জানান, নয় দিন ধরে আশুলিয়ায় শ্রমিক আন্দোলন চলছে। সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে।গতকাল সোমবার রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠেকে মঙ্গলবার তারা কাজে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে তারা সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। এ অবস্থায় আমাদের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য আশুলিয়া এলাকায় তাদের কারখানাগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হলেন।পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই শিল্পকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। সংসদে আইন করে শাস্তি দিন, যাতে আর কেউ এই শিল্পকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিল্প কারখানা চালানোর জন্য আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিন। তা না হলে কারখানা খোলা রাখা সম্ভব হবে না। এর প্রভাব পড়বে আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে।শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো উস্কানিতে প্ররোচিত হবেন না। পোশাকশিল্পে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাবেন না। দায়িত্বের সাথে নিজ নিজ কাজ করুন। দেশের স্বার্থে উৎপাদনে আমাদের সাহায্য করুন।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এ কে আজাদ প্রমুখ।