সবার চোখ এখন নারায়ণগঞ্জে

ক্রাইমবার্তা রিপোট:বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। দলীয় প্রতীকে প্রথম এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়ায় ভোটাররা করছেন নানা সমীকরণ। গণ-জোয়ার নৌকা না ধানের শীষের দিকে তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমনটাই মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের। আর তাই দেশের সচেতন নাগরিকদের সবার চোখই এখন নারায়ণগঞ্জের ভোটের দিকে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৯৫ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৫৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন ভোটার, ১৭৪ ভোট কেন্দ্রের ১৩০৪টি ভোট কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ হাজার সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয় সেজন্য প্রতি ওয়ার্ডে অচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও ভোটগ্রহণের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিটি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে অরো ৯জন ম্যাজিট্রেট নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনী অপরাধের তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত বিচারের (সামারি ট্রায়াল) জন্য ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

নির্বাচনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ প্লাটুন বিজিবি ইতোমধ্যে মাঠে নামানো হয়েছে। এরমধ্যে ৭ প্লাটুন কাজ করবে সিদ্ধিরগঞ্জে, বন্দরে ৫ প্লাটুন এবং বাকি ১০ প্লাটুন সদরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ভোট গ্রহণের আগের দুইদিন, ভোটের দিন ও ভোট পরবর্তী একদিনসহ মোট ৪ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন, আনসার, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও বিজিবির মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৩ ডিসেম্বের পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে ১৭৪ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ৩০৪ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৬০৮ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন।

Check Also

ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আবুল হোসেন সদর প্রতিনিধি : ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।