ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনে গো-হারা হেরেও ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ।
আফ্রিকা ও পশ্চিমা নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য জামেহর প্রতি আহ্বান জানালেও কারো কথায় কান দিচ্ছেন না তিনি।
১ ডিসেম্বর গাম্বিয়ায় নির্বাচন হয়। নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু এক সপ্তাহ পর অস্বীকার করে ক্ষমতা না ছাড়ার ঘোষণা দেন।
জামেহ অভিযোগ করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং নতুন নির্বাচন দিতে হবে। তারপর তিনি দেখবেন কী করা যায়।
একটানা ২২ বছর একহাতে গাম্বিয়া শাসন করছেন জামেহ। ক্ষমতাকাতর এই শাসক নির্বাচনে হেরে গিয়েও পদত্যাগের বিষয়ে টালবাহানায় লিপ্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এদিকে, বিজয়ী প্রার্থী আদামা ব্যারো জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারিতেই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। এ দিন ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ দিন।
এর আগে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বের করে দিয়ে তা দখল করে জামেহর অনুগামী সেনারা। কমিশনের কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান জামেহ ২২ বছর ধরে যথেচ্ছা শাসন চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে গাম্বিয়াবাসীর। তাদের দাবি, বাদশাহি কায়দায় হুকুম জারির মাধ্যমে দেশ চালানো তার অভ্যাস।
১ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জামেহ ২ লাখের কিছু বেশি এবং ব্যারো আড়াই লাখের বেশি ভোট পান। আগে চারবার নির্বাচনে জেতেন জামেহ। ১৯৯৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। এরপর চারবার নির্বাচনে জয়ী হলেও প্রতিবারই তার বিরুদ্ধে ভোট ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়।