ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে প্রেসিডেন্টের সাথে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক জার্মান তরুণী। গত মাসের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম গাউক দেশটির অফেনবাউচ শহরের একটি স্কুল পরিদর্শনে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, থিওডোর হিয়াস নামক একটি স্কুল অভিবাসী শিশুদের জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করা উপলক্ষে স্কুলটি পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম গাউক। স্কুলের শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টের সাথে করমর্দন করছে। একপর্যায়ে হিজাব পরিহিত ওই তরুণীর সামনে এসে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট; কিন্তু মেয়েটি প্রতিউত্তরে হাত না বাড়িয়ে মাথা নিচু করে হাসি মুখে প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান। প্রেসিডেন্টও বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসি মুখে সামনে এগিয়ে যান। এ ঘটনার বেশ কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
ইউরোপে মুসলমান কর্তৃক বিপরীত জেন্ডারের লোকদের সাথে করমর্দন করতে না চাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুতে জার্মানির একটি স্কুলের এক মুসলিম শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষকদের সাথে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানায়। হামবুর্গের সেই স্কুলের শিক্ষিকার বাড়ানো হাতে জবাবে তরুণ ছাত্রটি বলেছিল, ‘আমার ধর্ম আমাকে এটি করতে অনুমতি দেয় না। এর অর্থ এই নয় যে, আপনার প্রতি আমার অসম্মান আছে’। ওই ঘটনাটিও জার্মানিজুড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
গত এপ্রিলে সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরের দুই মুসলিম শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেছিল, নারী শিক্ষকদের সাথে করমর্দনের রীতি ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। তারা কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, ইসলাম নির্দিষ্ট কিছু পারিবারিক সদস্য ছাড়া বিপরীত জেন্ডারের কাউকে স্পর্শ করার অনুমতি দেয় না। এর পরিপ্রক্ষিতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের করমর্দনের রীতি পরিবর্তন করেছিল। যদিও দেশটির অনেক অমুসলিম নাগরিক বিষয়টির বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ করেছেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল