দুই বিমান ছিনতাইকারী আটক, আরোহীরা মুক্ত

ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:মাল্টায় লিবীয় বিমান ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটেছে। বিমানের ১১৮ আরোহীর সবাই মুক্তি পেয়েছেন। দুই ছিনতাইকারী আত্মসমর্পণ করেছে। মাল্টা পুলিশ তাদের আটক করেছে।

ছিনতাইকারীদের একজনের নাম মৌসা সাহহা। তিনি নিউ ফাতাহ দলের প্রধান। দলটি লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গাদ্দাফির সমর্থকদের। এ

শুক্রবার মাল্টায় অবতরণের পর প্রথমে লিবিয়ায় ফের গাদ্দাফি প্রশাসনকে ক্ষমতায় ফেরানোর দাবি করেন তারা। পরে মাল্টা প্রশাসনের কাছে আশ্রয়ের আর্জি জানান। বিমানটির সব যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের উদ্ধারের পরেই তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার লিবিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সেবহা শহর থেকে বিমানটি রাজধানী ত্রিপোলি যাওয়ার পথে দুজন ছিনতাইকারী বিমানটি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে এটি মাল্টা অবতরণ করতে পাইলটকে বাধ্য করেন। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলবর্তী মাল্টা লিবিয়ার উত্তর উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
লিবিয়ার ঊর্ধতন একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, বিমানের পাইলট ত্রিপোলী বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানান, তার বিমানটি ছিনতাই হয়েছে। এরপরই তার সাথে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাইলট বিমানটি নির্ধারিত গন্তব্যে অবতরণ করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। বিমানটি মাল্টায় অবতরণের পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য বিমানটি ঘিরে ফেলে। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই বিমানবন্দরের বেশকিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয় ও কয়েকটি বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে চলে যেতে বলা হয়।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী যোসেফ মাস্কাট টুইটারে বলেছেন, লিবিয়ার একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ছিনতাই করে মাল্টায় নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।
মাল্টার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব মাল্টা জানিয়েছে, বিমানটি ছিনতাইয়ে জড়িত দুই ব্যক্তি নিজেদের নিহত লিবীয় নেতা গাদ্দাফির সমর্থক ‘আল ফাতাহ আল গাদিদা’ দলের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাদের কাছে হ্যান্ড গ্রেনেড আছে বলেও তারা দাবি করেন।
মাল্টা সরকারের মুখপাত্র কার্ট ফারুগিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকট লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজের সাথে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
লিবিয়ার একজন পার্লামেন্ট সদস্য হাদি আল সাগির বলেছেন, দুই ছিনতাইকারির বয়স ২৫-এর মধ্যে এবং তারা দক্ষিণ লিবিয়ার তেবু এলাকার বাসিন্দা।
২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত এবং নিহত হন লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মর গাদ্দাফি। তার পর থেকেই অশান্ত লিবিয়া। ক্ষমতা নিয়ে লড়াই চলছে পাশ্চাত্য-সমর্থিত শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে। পাশ্চাত্য-সমর্থিত সরকার পুরো দেশে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি। পূর্বদিক দখলে রেখেছে সেনা অফিসার মার্শাল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনী।

 

Check Also

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।