ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:২০১৬ যাই যাই করছে। তাই বছরের শেষ বেলায় এসে হিসাবের খাতা খুলে বসা। তবে এ হিসাব অর্থকড়ি নিয়ে নয়। এ হিসাব আলোচনা-সমালোচনার। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এ বছর ছিল বেশ সম্ভাবনার। যেমন বাণিজ্যিক ছবিগুলো ব্যবসা করেছে হলে, তেমনই ভিন্নধারার ছবিগুলো দেশ ও দেশের বাইরে কুড়িয়েছে প্রশংসা। তাই বছরের শেষে এসে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ তেমনই কিছু আলোচিত ছবির কথা তুলে ধরা হলো।
শিকারি
নির্মাতা: জাকির হোসেন (বাংলাদেশ) ও জয়দেব মুখার্জি (ভারত)
শিল্পী: শাকিব খান, শ্রাবন্তী (ভারত)
মুক্তি: ৭ জুলাই
এ বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ছবি শিকারি। এবারই প্রথম এই অভিনেতা অভিনয় করলেন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার কোনো ছবিতে। তাই ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল সাধারণ সময়ের চেয়ে একটু বেশি। তা ছাড়া এতে শাকিব খানের যে নতুন রূপ দর্শকেরা দেখেছেন, তা নিয়ে আলোচনা হয় সব মহলে। নতুন রূপের শাকিবকে দেখতে অনেকেই ছুটে গেছেন প্রেক্ষাগৃহে, যার ফলে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা পেয়েছে ছবিটি।
আয়নাবাজি
পরিচালক: অমিতাভ রেজা
অভিনয়: চঞ্চল, নাবিলা, পার্থ বড়ুয়া
মুক্তি: ৩০ সেপ্টেম্বর
আয়নাবাজি নিয়ে আলোচনা এই ছবিটি মুক্তির আগে থেকেই। আর এই ছবি মুক্তির পর তো রীতিমতো হট্টগোল। দর্শকের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে প্রেক্ষাগৃহে পুলিশ মোতায়েনের মতো ঘটনাও ঘটেছে। কিছু কিছু প্রেক্ষাগৃহে একটানা মাস দুয়েকও চলেছে ছবিটি। আর দেশের বাইরে থেকেও প্রশংসার পাশাপাশি অর্জন করেছে স্বীকৃতি।
শঙ্খচিল
পরিচালক: গৌতম ঘোষ
অভিনয়: প্রসেনজিৎ, কুসুম শিকদার, সাঁঝবাতি
মুক্তি: ৮ এপ্রিল
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবি বাণিজ্যিকভাবে সাড়া ফেলেনি। তবে প্রশংসিত হয়েছে চলচ্চিত্র সমালোচকদের মধ্যে। মুক্তির পর ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শঙ্খচিল সেরা বাংলা ছবির পুরস্কার পেলে এটি নিয়ে সবার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
অজ্ঞাতনামা
পরিচালক: তৌকীর আহমেদ
অভিনয়: ফজলুর রহমান বাবু, মোশাররফ করিম, নিপুণ, শহীদুজ্জামান সেলিম
মুক্তি: ১৯ আগস্ট
ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে খুব সাড়া না ফেললেও বোদ্ধামহলে এটি নিয়ে মুক্তির পর থেকেই ছিল আলোচনা। এই ছবির অভিনয়শিল্পীদের কাজ প্রশংসিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। দেশের বাইরে কিছু বড় আন্তর্জাতিক আসরেও অজ্ঞাতনামা প্রদর্শিত হয়েছে, পুরস্কৃতও হয়েছে।
বাদশা
পরিচালক: আব্দুল আজিজ (বাংলাদেশ) ও রাজেশ কুমার যাদব (ভারত)
অভিনয়: জিৎ (ভারত), নুসরাত ফারিয়া
মুক্তি: ৭ জুলাই
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার এই ছবি দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় টালিউড অভিনেতা জিতের। এ জন্যই ছবিটি নিয়ে ছিল আলাদা আগ্রহ। তা ছাড়া এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তির পর সেখানে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। ভারতে প্রশংসিত হয় বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়ার অভিনয়।
বসগিরি
পরিচালক: শামীম আহমেদ
শিল্পী: শাকিব খান, বুবলী
মুক্তি: ১৩ সেপ্টেম্বর
নতুন নায়িকা বুবলীর সঙ্গে শাকিব খানের জুটি এই ছবিতে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া এই ছবির দুটি গান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হয়েছিল ভাইরাল। গান দুটি ছিল ‘বুবলী বুবলী’ ও ‘দিল দিল’। তা ছাড়া শিকারি ছবির পর এই ছবিতে শাকিব খানের সাজপোশাক বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
রক্ত
নির্মাতা: সুমন
অভিনয়: পরীমনি, রোশান
মুক্তি: ১৩ সেপ্টেম্বর
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া এই ছবি শুটিং শুরুর আগ থেকেই ছিল আলোচনায়। প্রথমে এই ছবি পরিচালনার কথা ছিল মালেক আফসারীর। কিন্তু শেষ নাগাদ বদলে যায় ছবির নির্মাতা। তা ছাড়া অভিনেত্রী পরীমনির কারণেও ছবিটি ছিল আলোচনা ও সমালোচনায়। ছবির ‘ডানাকাটা পরী’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।