ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:: গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পর রাজধানীসহ সরাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব অভিযানে ২৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেজেএমবির শীর্ষ নেতা, গুলশান হামলার মাস্টার মাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ ২৯ জঙ্গি। সবশেষ আশকোনা অভিযানে জঙ্গি নেতা তানভীর কাদরীর ছেলে আবীরসহ নিহত হন দুই আত্মঘাতী জঙ্গি।
পহেলা জুলাই গুলশান হামলার পর কল্যাণপুরের তাজমঞ্জিলে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রথম সফল অভিযান চালায়। ২৬’শে জুলাইয়ের সেই অভিযানে মারা যান নব্য জেএমবির নয় সদস্য, আহত অবস্থায় আটক হন একজন।
জঙ্গি দমন অভিযানে সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ২৭’শে আগস্ট। নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া ঘাঁটিতে নিহত হন নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি। তামিমকে গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী দাবি করে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো পুলিশ।
এরপর ২রা সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে নিহত হন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়া মেজর জাহিদ। পুলিশ জানায়, তামিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন জাহিদ, নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সেপ্টেম্বরে আজিমপুর আস্তানায় চালানো অভিযানে নিহত হন তানভির কাদেরী। তার বিরুদ্ধে গুলশান হামলাকারীদের সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিলো।
আট অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেক ও হাড়িনাল অভিযানে মৃত্যু হয় নয় জঙ্গির। এদের মধ্যে ছিলেন জঙ্গিনেতা ফরিদুল ইসলাম আকাশ। একই সময় টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে নিহত হন আরো দুই জঙ্গি। একইদিন আশুলিয়ার আস্তানায় অভিযান চলাকালে পাঁচতলা থেকে পড়ে মারা যান, জেএমবির অর্থ যোগানদাতা আব্দুর রহমান। আটক করা হয় তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে।
সর্বশেষ শনিবার, আশকোনায় চালানো অপারেশন রিপল টোয়েন্টি-ফোরে নিহত হন জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে আবীর ও আত্মঘাতী এক নারী। আত্মসমর্পণ করেন নিহত জঙ্গি নেতা জাহিদুলের স্ত্রীসহ পাঁচ জন। সূত্র: ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি