ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বিতর্কিত টুইট বার্তার মধ্যে দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণা দিতে পারেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টির পেছনে ট্রাম্রে বিতর্কিত টুইট পোস্ট যেমন সমালোচিত, তেমনি নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প যেদিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সেদিনই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পরীক্ষা চালান। কিমের এধরনের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পাবে যদি ট্রাম্প তার টুইটার বার্তায় হুমকি অব্যাহত রাখেন।
পারমাণবিক শক্তি বিস্তার রোধ ও যুক্তরাষ্ট্রের মিডিলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস বলেছেন, একবার ভাবুন, আমরা সঙ্কটের মধ্যে পড়ে গেছি, যদি ট্রাম্প কান্ডজ্ঞানহীনভাবে তার টুইটার বার্তা অব্যাহত রাখেন তাহলে তা মানুষ পড়বে এবং পরি¯ি’তি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক শক্তি আরো বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেন।
মি. জেফরি লুইস বলেন, উত্তর কোরিয়া অনেক আগেভাগেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে যা ইতিমধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক শক্তি আরো বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয় তাহলে উত্তর কোরিয়া আর অপেক্ষা করবে না। তারা দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার করে ফেলতে পারে।
মি. লুইস আরো বলেন, উত্তর কোরিয়া ট্রাম্পের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির অভিলাষের দিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার করতে পারে।
পারমাণবিক নীতি বিষেষজ্ঞ ও প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ব্রুস ব্লেয়ার বলেন, টুইটারে ট্রাম্পের পারমাণবিক কূটনীতি স্পর্শকাতর পরি¯ি’তি সৃষ্টি করতে পারে যা সার্বিক পরি¯ি’তিকে আরো খারাপ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, যে কোনো হুমকির একটি পাল্টা সাড়া থাকা স্বাভাবিক এবং তা কখনো শুধু বাত কি বাত না হয়ে সত্যিই কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে সক্ষম হতে পারে। ডেইলি স্টার ইউকে