ক্রাইমবার্তা রিপোট:সুদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করতে পারায় পটুয়াখালীর চরবেষ্টিত উপজেলা রাঙ্গাবালীতে শিকলে বেঁধে খলিল হাওলাদার (৩২) নামে যুবককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন জানায়, উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামে ‘সুদ ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচিত ঝুমুর বেগমের কাছ থেকে চলতি বছরের শুরুতে দ্বিগুণ সুদে ৭ হাজার টাকা নেয় একই গ্রামের খলিল হাওলাদার। সেই টাকা সুদসহ পরিশোধের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঝুমুরের বাড়িতে যান খলিল। সেখানে গিয়ে মূল টাকা এবং সুদসহ ১০ হাজার ৫০০ টাকা ঝুমুরকে দিতে চায়। কিন্তু ঝুমুর দাবি করে ২০ হাজার টাকা। দাবিকৃত টাকা না পাওয়ায় ঝুমুর ও তার স্বামী মিজু হাওলাদার এবং ছেলে মহারাজ জোরপূর্বক খলিলকে শিকল দিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এরপর ঝুমুর তার স্বামী ও ছেলে মিলে তাকে মারধর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খলিলকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ঝুমুরের স্বামী মিজু হাওলাদারকে আটক করে।
হয়রানির শিকার যুবক খলিল হাওলাদার বলেন, আমি ঝুমুরের কাছ থেকে দ্বিগুণ সুদের ওপর ৭ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকা সুদসহ সাড়ে ১০ হাজার টাকা হয়েছে। টাকা ফেরত দিতে ঝুমুরের বাড়িতে গেলে সে আমার কাছে মাসিক সুদ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় আমার পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ঝুমুর তার স্বামী এবং ছেলে আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করে। ঝুমুর দুই-তিনবার গলার কাছে দা নিয়ে কোপাতে উদ্যত হয়।
রাঙ্গাবালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনোজ কুমার সরকার জানান, সুদের টাকার জন্য এভাবে শিকলে বেঁধে রাখার ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। খলিলকে উদ্ধার করতে গেলে ঝুমুরসহ আরও ৪-৫ জন মহিলা আমাদের বাঁধা দেয়। অনেক চেষ্টার পর আমরা খলিলকে উদ্ধার করি।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।