ক্রাইমবার্তা রিপোট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির মামলায় আত্মসমর্পণকারী দুই আসামির সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন টিপু শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
গত ২২ ডিসেম্বর এ আসামিরা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থণা করলে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বুধবার শুনানির দিন ঠিক করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জনকে গত ২২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হলেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন।
গত ২৭ নভেম্বর বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেষ্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কমকতা। তাদের উপর উক্ত উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা গত ২৬ নভেম্বর উক্ত উড়োজাহাজ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উক্ত উড়োজাহাজ গত ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪ ঘটিকায় শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটি অনুমানিক ২ ঘন্টা ২৮ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান। এরপর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় উড়োজাহাজটি নিধারিত গন্তব্যের আগেই তুকিমস্থানের রাজধানীতে পাইলট অবতরণ করতে বাধ্য হন।
এরপর বাম পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়।পরে তা মেরামত করে প্রধানমন্ত্রী উক্ত উড়োজাহাজেই বুদাপেষ্ট যান। উক্ত ঘটনায় বিমান কতৃপক্ষ গত ২৮ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উক্ত তদন্তে আসামীদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যথতা উঠে আসে। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর রাতে দন্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।