ক্রাইমবার্তা রিপোট:ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গতকাল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের তিব্বত গলিতে অভিযান চালিয়ে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ১ নম্বর রোডের তিব্বতের গলিতে প্রায় ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময় ফুটপাত দখল করে তৈরি করা আওয়ামী লীগের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিট কার্যালয়ও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম আলী বেগ। উচ্ছেদে ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন কবির মাহিন (উপসচিব), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আব্দুর রশিদসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদের শুরুতেই ডিএনসিসির শ্রমিক ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য সংশ্লিষ্ট এ রাস্তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর শিল্পাঞ্চলের ভেতরে থাকা প্রশস্ত ফুটপাতের ওপর বিভিন্ন কারখানার অবৈধ শেড ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রাস্তার দুই পাশে থাকা ছোট ছোট খুপরি ঘর গুঁড়িয়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলা এ উচ্ছেদ অভিযানে দুই শতাধিক অবৈধ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভেঙে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ সমাপ্তির আগে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিটের আওয়ামী লীগের অফিসও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
উচ্ছেদকালে তিব্বত গলির মোড়ের ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা মাল্টিব্র্যান্ড ওয়ার্কশপের গ্যারেজের বর্ধিতাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যাট্রিয়ট গ্রুপের মূল ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙে দেয় ডিএনসিসির উচ্ছেদকারী দল। এ উচ্ছেদের সময় নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের আবাসন
বাঁচাতে বেশ আকুতি-মিনতি শুরু করে। কিন্তু অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে কোনো নমনীয়তা দেখায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রতি মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে তারা বসবাস করে। এখন বৈধ বাসা ভাড়া নিতে তাদের কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা গুনতে হবে।
উচ্ছেদ শেষে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের মেগা প্রজেক্টের আওতায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর আগে গত বুধবার একই এলাকার আরো ৩০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ’ এ অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানান তিনি।