আশাশুনিতে যাত্রাপালার নামে জুয়া ও নগ্ন নৃত্যের আসরে নগ্ন ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় নৃত্য পরিবেশন করছে নত্তকীরা

ক্রাইমবার্তা রিপোট: মীর খায়রুল আলম: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যাত্রাপালার নামে জুয়া ও নগ্ন নৃত্যের সংবাদ দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনের সহযোগীতায় বন্ধ করা হয়। ঠিক একই ধারাবাহিকতায় আশাশুনি উপজেলার কোদন্ড সব্দলপুরে যাত্রার নামে চলছে নগ্ন নৃত্য। স্বল্পবসনা যুবতীদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির নৃত্যে যুবসমাজ বেসামাল হয়ে পড়ছে। যাত্রার নামে ভ্যারাইটি শো দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছে। এদের মধ্যে যুবক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা বেশি। অতিতের ঐতিহ্য ভেঙে অশ্লীলতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ায় মানুষের মাঝে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের নামে শুরু করে গানের তালে তালে অশ্লীল নৃত্যের ঝংকার নামে নত্তকীরা। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, যুবতী মেয়েদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গীতে নাচ পর্নো ছবিকেও হার মানিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগ্নতার পাশাপাশি মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর, চরকি, ওয়ানটেন ও ফোরগুটির মত নিষিদ্ধ খেলা। বাইরে থেকে আসা জুয়াড়িদের ফূর্তির জন্য দেহ ব্যবসায়ীদের আনা হয়েছে। নামাজের সময়েও কোন বিরতি নেই, উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হচ্ছে। মাইকের কানফাটা আওয়াজে আবাসিক এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 18
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোদন্ডা সব্দলপুর হাজরা কালীমন্দিরের উন্নয়নের লক্ষ্যে  যাত্রার নামে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত রবিবার হতে শুরু হয় এ যাত্রাপালার। চলবে মোট দশদিন। যাত্রার যত দিনে পার হচ্ছে, ততই নগ্নতার মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুকৌশালে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্যামনগর অনুষ্ঠিত অসামাজিক যাত্রপালা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়। শ্যামনগরের পর আশাশুনিতে কিভাবে সরকারি অনুমোদন নেওয়ার পরও কিভাবে এমন অসামাজিক কর্মকান্ড চলতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মন্দির কমিটির সাথে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা এ যাত্রাপালার আয়োজন করেছে। মেলার নামে অশ্লীলতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় মেলার নামে এমন বেহায়া কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। ফলে নিকটবর্তী আশাশুনি থানা পুলিশ সদস্যরা এসব অনৈতিক কর্মকান্ড দেখেও না দেখার ভান করছে। তাছাড়া দেবহাটা ও কালিগঞ্জ থানা পুলিশের অনেকেই যাত্রপালা দেখতে আসেন এবং নত্তকীদের সাথে নাচতেও থাকেন।
এদিকে আসন্ন এসএসসি ও এইচ এসসি পরীক্ষা সামনে থাকায় এবং এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এমন বেহায়াপনা অনুষ্ঠানের বন্ধের দাবী জানিয়েছেন সকলে।

Check Also

সাতক্ষীরায় লটারীতে টিকে থাকা ৭১ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগের দাবিতে অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন  

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ভর্তির লটারীতে টিকে থাকার পরও শুধুমাত্র বয়সের অজুহাতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।