ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় গোলাম রসুল নামের একটি ছেলে দীর্ঘ ১০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধানে পিতা-মাতা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পাগলপ্রায়। নিখোঁজ ছেলেটি ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের রজব আলী গাজীর পুত্র।
জানা যায়, গোলাম রসুল খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা খরসঙ্গ দারুল কোরআন নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় দীর্ঘ ৩ বছর ধরে পড়াশুনা করে আসছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উক্ত মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন হাফেজ মাওঃ সাজেদুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি যোগদানের পর ছাত্রদেরকে বেদমভাবে নির্যাতন করে বলে গোলাম রসুলের পিতা-মাতা আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর’১৬ গোলাম রসুল বাড়ীতে এসে উক্ত মাদরাসায় না যাওয়ার জন্য পিতা-মাতার কাছে একাধিকবার আবদার করেন এবং নতুন হুজুরের বেধড়ক মারপিটের কথা বলে। গত ২৫ ডিসেম্বর’১৬ পিতা-মাতা মাদরাসার হুজুরের কথার উপর ভিত্তি করে গোলাম রসুলকে বুঝিয়ে পুনরায় মাদরাসায় পাঠায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোন স্বহৃদয় ব্যক্তি গোলাম রসুলের সন্ধান পেলে ০১৯৯১-৮৬৩৯৭৩ নং মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তারা পিতা-মাতা।
পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশে আসামী গ্রেপ্তার
পাইকগাছায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভিকটিম ও তার পরিবারের উপর হুমকি : থানায় জিডি : মানবাধিকার সংগঠণের আইনী সহায়তা কামনা
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশে প্রায় ২ মাস পর খুলনার পাইকগাছায় ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভিকটিম ও ভিকটিম পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি, জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির হুমকি ও অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদে পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। এদিকে আইনী সহায়তার জন্য ইউনিটি ফর ইউনিভার্স ইউম্যান রাইটস্ চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব বরাবর আবেদন হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার রাড়–লী গ্রামের সালাম গাজীর বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবর রাতে আজাদুল গাজীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০৩) ০৯ (১)-৩০ ধারায় ২৫নং করা মামলা হয়। ধৃত সালাম গাজী সহ ৩ জন মামলার আসামী। মামলায় পুলিশের গড়িমসির কারণে ভিকটিম রাবেয়া খাতুন ১৯ ডিসেম্বর’১৬ পুলিশ মহাপরিদর্শক এ,কে,এম শহিদুল হক বরাবর স্ব-হস্তে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। যার ডায়েরী নং- ১৩৮৪, তাং- ১৯/১২/২০১৬। পুলিশ মহাপরিদর্শক বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার, খুলনাকে পাঠালে তার নির্দেশে পাইকগাছা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আসামী সালাম গাজীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এদিকে আসামী গ্রেপ্তার হওয়ায় তার পিতা ২৯ ডিসেম্বর’১৬ দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে ০১৯১৫-২০১৮৪৭ নং মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের বোন মর্জিনার ০১৯১৬-১৬৫০২০ নম্বরে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। জান মালের ক্ষয়-ক্ষতির হুমকি, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যে কারণে ভিকটিম রাবেয়া খাতুন জান-মাল রক্ষা ও ভয়-ভীতির কারণে পাইকগাছা থানায় ১ জানুয়ারি’১৭ তারিখে ২০/১৭ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। একই সাথে অন্য আসামী গ্রেপ্তার না হওয়া এবং অসহায় এ পরিবারটি আইনী সহায়তার জন্য ২ জানুয়ারি’১৭ তারিখে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স ইউম্যান রাইটস্, পাইকগাছা চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব বরাবর আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে ওসি, পাইকগাছা থানা জানান, ইতিমধ্যে আসামী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।