ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট: তুরস্কের একটি নৈশক্লাবে নববর্ষের উৎসবে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। হামলায় ১৬ বিদেশিসহ ৩৯ জন নিহত হন।
এক বিবৃতিতে আইএস দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তাঁদের একজন বীর সৈনিক এ হামলা চালান।
ইস্তাম্বুলের ওই ক্লাবটিতে অন্তত ৬০০ মানুষ রোববার রাতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছিলেন। এমন সময় নির্বিচারে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী।
গত বছরও তুরস্কে চালানো দুটি বড় হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করা হয়। তুরস্কের গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে রেইনা নাইটক্লাবে অন্তত ১৮০টি গুলি ছোড়ে ওই বন্দুকধারী।
হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েল, ফ্রান্স, তিউনিসিয়া, লেবানন, ভারত, বেলজিয়াম, জর্ডান ও সৌদি আরবের ১৬ নাগরিক। আহত ৬৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইস্তাম্বুল শহরের গভর্নর ভাসিপ সাহিন জানিয়েছেন, সান্তাক্লজের পোশাক পরে এক সন্ত্রাসী এ হামলায় অংশ নেয়। দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তি নির্মম ও বর্বরভাবে নিরীহ লোকজনের ওপর গুলি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুরুতে ক্লাবের ফটকে থাকা নিরাপত্তারক্ষী এবং একজন ট্রাভেল এজেন্টকে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ওই সন্ত্রাসী। আনুমানিক সাত মিনিট সময়ের মধ্যেই এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে এই ৩৯ জনকে হত্যা করে সে।
হত্যাকারীকে ধরতে জোর অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু শিগগিরই হত্যাকারীকে ধরার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই আইএস এই কাজ করেছে। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের জনগণের মনোবল ভেঙে দিতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’