ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতা, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মৃত ও প্রবাসী ব্যক্তিদের নামে হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের চাল তুলে কালো বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্থানীয় আটাবহ ইউনিয়ন পরিষদের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা (আলু মোল্লা) ও তার সহযোগী কে.এম ইব্রাহিম খালেদের নামে কালিয়াকৈর থানায় মামলা হয়েছে। স্থানীয় গোসাত্রা গ্রামের বাসিন্দা মৃত জহিরুল হকের পুত্র মোঃ মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার বাদী মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা (আলু মোল্লা) ওই ইউনিয়নের তালিকায় শতাধিক মৃত ব্যাক্তির নাম দেখিয়ে তার নিজের লোক দিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১০টাকা কেজি দরের চাল তুলে কালো বাজারে অধিক দামে বিক্রি করেছেন। এছাড়া ওই চেয়ারম্যানের মদদে ডিলাররা আটাবহ ইউনিয়নের হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্ধকৃত ১ হাজার ৫শত কার্ড থেকে মাত্র ২০শতাংশ কার্ড চেয়ারম্যানের একান্ত আস্থাভাজনদের মাঝে বিতরণ করেন। বাকী ৮০শতাংশ কার্ড নিজেদের কাছে গচ্ছিত রেখে অবৈধভাবে চাল উত্তোলন করে বেশী দামে কালো বাজারে বিক্রি করেন।
মামলার বাদী মোঃ মোজাম্মেল হক আরো জানান, আটাবহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক মৃত ও প্রবাসী ব্যক্তির নামে অবৈধভাবে ১০টাকার চাল তুলে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছে অভিযুক্তরা। জনস্বার্থে আমি ওই মামলা করেছি। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হককেও জানানো হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও অভিযুক্তদের আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, ২০১১সালে হতদরিদ্রের লিস্ট তৈরি করা হয়। পরে ওই লিস্ট অনুযায়ি উপজেলা খাদ্য অফিস কার্ড তৈরি করেছে। আমরা ওই কার্ড মোতাবেক চাল বিতরণ করেছি। কয়েকজন কার্ডধারী সুবিধাভুগী মারা গেলেও তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের পক্ষে চাল উত্তোলন করেছেন। তাদের নামে আনা চাল তুলে বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়।
কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ ঘটনায় মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ দুইজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২৮ডিসেম্বর কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করবে। তবে এখনও কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শতাধিক মৃত ও প্রবাসীদের নাম ওই তালিকায় রয়েছে।