ক্রাইমবার্তা রিপোট: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকা-ে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লিটনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, হত্যাকা-ের কয়েকদিন আগে লিটনের বাড়ির নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সার্বক্ষণিক থাকতো।’ তারপরও কীভাবে লিটন খুন হন?
এ হত্যাকা-ের পরে লিটনের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মতে, লিটনকে হত্যার আগে ওই এলাকা রেকি করে তথ্য সংগ্রহ করে মূল খুনিচক্রকে সরবরাহ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের ভাষ্যমতে, লিটনের ঘনিষ্ঠজনরাও এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতভাবে থাকতে পারে। লিটনের উপর হামলা করার আগ মুহূর্তে তার বাড়ির সামনের মাঠে একদল শিশু খেলছিল। হামলাকারীরা তখন তাদের বাড়ি চলে যেতে বলেছিল। কিন্তু শিশুরা সন্ধ্যা নাগাদ থাকে। সন্ধ্যার দিকে শিশুরা বাড়ি চলে গেলে নির্জনতার সুযোগ নিয়ে হামলাকারীরা তার বাড়িতে প্রবেশ করে লিটনকে উপর্যুপরি গুলি করে। লিটনের ঘনিষ্টজনদের কেউ খুনিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
লিটনের বড় বোন আফরোজা বারী বলেন, ‘আমাদের ভাইয়ের নামে শিশু হত্যা চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ এনে তার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করায় সন্ত্রাসীরা তাকে এভাবে হত্যা করতে পেরেছে। হত্যাকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’
এদিকে এ হত্যাকা-ের তিন দিনেও লিটন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কোন কিনারা পাননি তদন্তকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্তকারীরা বলছেন, গোটা সুন্দরগঞ্জকে দুর্ভেদ্য ঘাঁটি করতে চেয়েছিল জামায়াত-শিবির। পুরো এলাকায় তারা চেয়েছিল তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু তাদের এই মিশন বাস্তবায়নের পথে কাটা হয়েছিলেন এমপি লিটন। আর জঙ্গিরা ছিল তার প্রধান শত্রু। এর বাইরেও আর্থিক কোন বিরোধ, দলীয় কোন বিরোধ বা পারিবারিক কোন কলহ এই হত্যাকা-ের পেছনে কাজ করেছে কি-না সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পুরো ঘটনাই রহস্যাবৃত। সূত্র : ইত্তেফাক।