ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিস্ফোরক আইনে করা দুই মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জি কে গউছকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ।
আদালতে আরিফুল ও গউছের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল হালিম কাফী ও এম মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, এর ফলে আরিফুল ও গউছকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রইল এবং তাদের কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় জি কে গউছ এবং সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের অপর মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী গত ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ২০ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ২ জানুয়ারি বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
এর আগে ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা হলে এক যুবলীগকর্মী নিহত হয় ও ২৯ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় দিরাই থানায় মামলা হয়। এই মামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান আরিফুল হক। আর ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হবিগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান গউছ।