ক্রিকেট ছেড়ে যারা বিচিত্র পেশায়

ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:ক্রিকেট থেকে অবসরের পর অনেক ক্রিকেটারই অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন যাঁরা বিচিত্র পেশায় যোগ দিয়েছেন, যার সঙ্গে ক্রিকেটের কোনো সংশিষ্টতা নেই। কেউ বক্সার, কেউ বডিবিল্ডার, কেউ সংগীতশিল্পী, এমনকি ট্যাক্সিচালকও হয়েছেন কেউ। অদ্ভুত পেশা বেছে নেওয়া সাবেক ক্রিকেটাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন।

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ : ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বলা হয় তাঁকে। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ তাঁর ক্যারিয়ার খুব একটা বড় করতে পারেননি চোটের কারণে। শুনে অবাক হবেন, ক্রিকেট থেকে অবসরের পর পেশাদার বক্সিং শুরু করেন তিনি। এই পেশায় তিনি সফলও হন।

কার্টলি অ্যামব্রোস : ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের পেস আক্রমণের অন্যতম সেরা প্রতিনিধি বলা হয়ে থাকে কার্টলি অ্যামব্রোসকে। কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ড্রেড অ্যান্ড দ্য ব্যাল্ডহেড’-এর সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। এই ব্যান্ডের লিড বেস গিটারিস্ট হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আছেন তিনি।

আরশাদ খান : পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আরশাদ খান। নয়টি টেস্ট ও ৫৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা এই অফ স্পিনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০০৬ সালে। অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান তিনি, এখন সেখানে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন।

আর্থার মেইলি : অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২১ টেস্টে ৯৯ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আর্থার মেইলি ক্রিকেট থেকে অবসরের পর সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে সিডনিতে একটি মাংসের দোকান খোলেন।

মাইক ব্রিয়ারলি : ৩১ টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্বে দিয়েছেন তিনি। মাইক ব্রিয়ারলির অধীনে ইংলিশরা জিতেছে ১৭টি ম্যাচ। ক্রিকেট ছেড়ে হয়েছেন লেখক। পরে তিনি সাইকো অ্যানালিস্টের কাজ শুরু করেন। ব্রিটিশ সাইকো অ্যানালিটিকাল সোসাইটির প্রেসিডেন্টও হয়েছেন পরে।

ডেভিড শেপার্ড : ইংল্যান্ডের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয়। ২৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৫টি শতরান করা শেপার্ড ক্রিকেট থেকে অবসরের পর যাজক হন। ২০০৫ সালে ক্যান্সারে মৃত্যু হয় তাঁর।

অ্যাডাম হোলিওক : ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর মামলায় জড়িয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হন। পরে তিনি কেজ ফাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

ডেভিড লরেন্স : ইংল্যান্ডের হয়ে পাঁচটি টেস্ট খেলার পর এক দুর্ঘটনায় ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু দমে যাননি ডেভিড লরেন্স, পরে শরীরচর্চা শুরু করেন তিনি। এখন তিনি পেশাদার বডিবিল্ডার।

ক্রিস ওল্ড : একসময় ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের অন্যতম প্রধান ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর একটি রেস্তোরাঁ খোলেন ক্রিস ওল্ড। কর্নওয়েলের সেই রেস্তোরাঁয় মাছ এবং চিপসের জন্য বিখ্যাত ছিল।

Check Also

‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।