বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া

ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:এ বছরই অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর প্রায় নিশ্চিত। যদি এর মধ্যে আবার নিরাপত্তাজনিত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওকে এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড।

এ বছরই বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল। ফাইল ছবি
২০১৭ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা নিয়ে সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘সম্ভাবনা যথেষ্টই। আমরা দেখেছি গত বছরের শেষ দিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল। তাদের ঘিরে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা ছিল যথেষ্ট উঁচুমানের। আমরা সে সময় আমাদের নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারলকে ৮-১০ দিনের জন্য বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলাম। তিনি সেখানে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিয়েছিলেন।’

বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অস্ট্রেলীয় বোর্ডকে আশ্বস্ত করছে বলেই জানিয়েছেন সাদারল্যান্ড, ‘যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। আমরা পরিস্থিতির ওপর টানা দৃষ্টি রাখব। তবে আমরা বাংলাদেশে যাচ্ছি—এটি ধরে নিয়েই পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশ সরকার ও ক্রিকেট বোর্ড যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলছে, সেটা আমাদের অবশ্যই স্বস্তির কারণ হয়ে আছে। এই মুহূর্তে আমাদের পরিকল্পনা বাংলাদেশে আমরা দুটি টেস্ট খেলব।’

২০১৫ সালের অক্টোবরে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলীয় সরকারের নির্দেশে সে সফর স্থগিত হয়ে যায়। অস্ট্রেলীয় সরকার এক সতর্কবার্তায় বলেছিল, নির্দিষ্ট করে ঠিক সফরের ওই সময়টি উগ্রবাদীদের অস্ট্রেলীয় ‘স্বার্থে’র ওপর জঙ্গি হামলার শঙ্কা রয়েছে। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ সফরে না আসায় অস্ট্রেলিয়া এক ধরনের ‘চাপে’ আছে বলেই জানিয়েছেন সাদারল্যান্ড। তবে চাপ থাকলেও তাদের কাছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়, ‘যদিও বাংলাদেশ সফর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া একটু চাপের মধ্যে আছে, তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মানের ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দেব না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি পর্যালোচনা সন্তুষ্ট হওয়ার পরেই আমরা এই সফরে যাব। আমি মনে করি এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আমরা এসব দেখেই পুরো বিষয়টা বিচার করব।’

দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে এই সফর হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাদারল্যান্ড। ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত টেস্ট খেলেছে মাত্র ৪টি। এর দুটি ফতুল্লা ও চট্টগ্রামে। অন্য দুটি ডারউইন ও কেয়ার্নসে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল। সব খেলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ডারউইন ও কেয়ার্নসে।

২০০৬ সালে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসে অস্ট্রেলিয়া। সে সফরে দুটি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর দুদলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে কেবল ওয়ানডে ম্যাচই হয়েছে। ২০০৮ সালে আবারও তিন ওয়ানডে খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যায় বাংলাদেশ। খেলা হয় সেই ডারউইন ও কেয়ার্নসেই। ২০১১ বিশ্বকাপের পর ঢাকায় এসে তিনটি ওয়ানডে খেলে যায় অস্ট্রেলীয় দল।

Check Also

‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।